ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস। দলের ‘আদিবাসী মুখ’ যজ্ঞেশ্বর হেমব্রমকে প্রার্থী করার জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এআইসিসি-র কাছে সুপারিশ জমা পড়েছে।
তবে শুধু যজ্ঞেশ্বর নন। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের, এআইসিসির কাছে মোট তিনজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। যজ্ঞেশ্বর ছাড়া তালিকার রয়েছেন বেলপাহাড়ি ও গোপীবল্লভপুরের দু’জনের নাম। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘আমরা সর্বভারতীয় দল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রামে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সেটার প্রমাণ করার জন্যই ভোটে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
৫৫ বছরের যজ্ঞেশ্বর হলেন ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের উত্তর বামদা এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন তিনি কংগ্রেসের দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আদিবাসী সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ঝাড়গ্রাম তল্লাটের (মহকুমা) ‘পারানিক’ (উপদেষ্টা) পদেও আছেন তিনি। এ ছাড়াও আরও একাধিক আদিবাসী সংগঠন ও ক্লাবের সঙ্গে তিনি যুক্ত। ঝাড়গ্রাম আদিবাসী বাজার কমিটির সম্পাদক পদেও রয়েছেন যজ্ঞেশ্বর। তিনি বলেন, ‘‘ কে প্রার্থী হবেন, সেটা দলের শীর্ষনেতৃত্ব ঠিক করবেন। আমাকে প্রার্থী করা হলে আমি সামাজিক সংগঠনের পদটি ছেড়ে দেব।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএম ও বিজেপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সাঁওতালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদাও জানিয়েছেন তিনি ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর প্রার্থী হচ্ছেন। এরপর কংগ্রেস প্রার্থী দিলে কি ভোট কাটাকুটির অঙ্কে তৃণমূলের লাভ হবে না? সুব্রতর পাল্টা জবাব, ‘‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল তো ভোটে যাবেই। শীর্ষস্তরে জোট না-হলে আঞ্চলিকস্তরে আমরাই বা কেন খামোকা আসন সমঝোতার দাবি তুলতে যাব!’’ কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে চাননি জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘‘সব দলেরই ভোটে দাঁড়ানোর গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। তবে জঙ্গলমহলে বিপুল উন্নয়ন দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী বিরবাহা সরেনই জয়ী হবেন।’’