সামনে লোকসভার ভোট। লড়াইয়ে জিততে হলে বুথে ঝান্ডা ওড়াতে হবে। আর ঝান্ডার ডান্ডাগুলো কাঁচা বাঁশের হতে হবে। কর্মীদের এমনই পরামর্শ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর মতে, শুধু নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা করে এই লড়াইয়ে জেতা যাবে না।
শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরে সিপিএমের এক সভা হয়। মুখ্য বক্তা ছিলেন সূর্যকান্ত। ছিলেন দীপক সরকার, তরুণ রায় প্রমুখ। মেদিনীপুরের আকাশে তখন দুর্যোগ। ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুর্যোগের মধ্যেই সভা হয়। সূর্যকান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বুথে যদি সংগঠন করতে না পারেন, বুথে যদি লালঝান্ডা পতপত করে ওড়াতে না পারেন, বাঁশের ডান্ডাগুলো যদি কাঁচা বাঁশের না হয়, যদি শক্তপোক্ত না হয়, তাহলে এই লড়াই খালি নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা করে লড়তে পারবেন না।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, কাঁচা বাঁশের ডান্ডা করার পরামর্শ দিয়ে আসলে লোকসভার আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে চেয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। এ দিনের সভায় বিজেপি, তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে কংগ্রেসকে বেঁধেননি। সূর্যকান্তের দাবি, ‘‘তৃণমূলের জাহাজ ডুবতে শুরু করেছে। তাই এক এক করে ঝাঁপ দিচ্ছে।’’ বিজেপির প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির একটাও কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে ছিলেন না। এখন দেশপ্রেমিক সাজার চেষ্টা করছে।’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন বেলদা গৌরাঙ্গ রাইস মিলের মাঠেও নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি ও দাঁতন বিধানসভা ক্ষেত্রের কর্মীদের নিয়ে সভা করেন সূর্যকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেন মুখ্যমন্ত্রী ওদিন ওখানে বসেছিলেন? এই পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতে না। আসলে উনি ভয় করছিলেন। পুলিশ কমিশনারের কাছে ওই ফাইল আছে যেটাতে ওর ভাইপো বাদ যাবে না। ভাইপোকে আগে ধরবে।’’