মহম্মদপুরে সিপিএম কর্মী শেখ রাখালের বাড়িতে ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটতেই রবিবার রাত থেকে বিরোধীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠল। কোথাও বাড়ি ভাঙচুর, কোথাও বিরোধী দলের কর্মীদের মারধর কিংবা দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসক দল।
সবচেয়ে বেশি আক্রমণের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ নন্দীগ্রামের বয়াল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে দুলাল মন্ডল, চন্দন মাইতি, বিবেক আড়ি সহ চারজন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি গোকুলনগর এলাকায় দুজন এবং মহম্মদপুর এলাকায় তিনজনের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতি (তমলুক) প্রদীপ দাসের অভিযোগ, ‘‘নন্দীগ্রামে যারা আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট এবং কর্মী হিসেবে ভোটের দিন ঘুরেছেন তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী দোকানপাট লুট করা হচ্ছে। এত কিছু অশান্তি হওয়া সত্ত্বেও নন্দীগ্রাম থানায় বারবার জানিয়ে কোনও সহযোগিতা মেলেনি।’’
শুধু বিজেপি নয়, শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ এনেছে সিপিএমও। অভিযোগ, রবিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের বিনোদপুরে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট হওয়ার জন্য শেখ গোলাম মোর্তাজা, শেখ রাখাল এবং শেখ আকবরের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত এক দল দুষ্কৃতী। মারধরের পাশাপাশি তিনজনেরই বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। রবিবার রাতেই নন্দীগ্রাম থানায় খবর দেয় স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। সোমবার ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘রবিবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। তার পরে কোনও অশান্তি থাকা উচিত নয়। কেউ যদি আমাদের দলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে থাকে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
হলদিয়ার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিজাত বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা ফোন ধরেননি।