ময়দানে ‘নেই’ বিরোধীরা, প্রচারে হাল্কা মেজাজেই তৃণমূল

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লকের ৪০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ২২টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোথায় বিরোধী। সিপিআই ছাড়া এখনও যে মাঠ ফাঁকা। পাঁশকুড়ায় তাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে তৃণমূল।

Advertisement

পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকাটি ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব জিতেছিলেন ২ লক্ষ টাকা ৬০ হাজার ৮৯১ টি ভোটে। সে বার তৃণমূলের ভোট ছিল ৫০.৭০ শতাংশ। ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানা। সেবার পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী দেব ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ফিরোজা বিবি সিপিআই প্রার্থী চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুরের থেকে মাত্র ৩ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন। তাহলে কি এ বার পাঁশকুড়া বিধানসভা ২০১৪-র লোকসভার মতো লিড দিতে পারবে না? তৃণমূল অবশ্য আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, বামেরা ছাড়া আর কেউ এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লকের ৪০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ২২টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কেশাপাট ও মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তারা। বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে ভোট হলেও তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি বিরোধীরা। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নতুন প্রজন্মের বামনেতা কেউ নেই। কংগ্রেসের কোনও কর্মসূচি দেখাই যায় না। গত বছর সবং উপ নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন পাঁশকুড়ার আনিসুর রহমান। বহু মামলায় আনিসুরকে একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। পাঁশকুড়া পুরসভার একমাত্র বিরোধী নেতা বিজেপির সিন্টু সেনাপতিকে অধিকাংশ সময় এলাকাতেই পাওয়া যায় না বলে কর্মীদের ক্ষোভ। তার উপর আনিসুর আর সিন্টু একে অপরের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবেই পরিচিত। ফলে বিজেপি সমর্থকদের একত্রিত করার মতো নেতা না থাকায় পাঁশকুড়ায় আপাতত পালে হওয়া তৃণমূলের।

Advertisement

তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শা বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে পাঁশকুড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই এখানে মানুষ বিরোধীদের চাইছে না।’’

পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতির দাবি, ‘‘দলীয় মিটিংয়ে কয়েকদিন ব্যস্ত আছি। দোলের পর প্রচার শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন