প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখে রেলশহরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল। লক্ষ্যপূরণে তৃণমূল রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে কর্মিসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন জেলা নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার খড়্গপুর শহরের ঝাপেটাপুরের কমিউনিটি হলে দলীয় কাউন্সিলর ও ৩৫টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ওই বৈঠক হয়। ২০১৪ সালের লোকসভা ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে খড়্গপুর শহরে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপি উঠে এসেছিল প্রথম স্থানে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরের বিধায়ক হওয়ার পরে শক্তি বৃদ্ধি করেছে গেরুয়া শিবির। তার উপর রেলশহরে নানা ভাষাভাষি মানুষের বাস। ফলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি তৎপর তৃণমূল। দলের শক্তি বৃদ্ধিতে প্রতিটি পাড়ায় সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কোথায়, কী সমস্যা রয়েছে তা জানতেই এ দিন বৈঠক করা হয়।
আগামী ২৩ মার্চ খড়্গপুর টাউন হলে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর উপস্থিতিতে কর্মিসভার হবে। সেই সভার প্রস্তুতিতেই এ দিন কর্মী বৈঠকে করা হয়। শহরে দলের অবস্থা ঠিক কেমন, তার পর্যালোচনাও হয়। তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে মানছেন, “শহরে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য শহরে দলের জয়।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকেও সেই বার্তা স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের বুথ কমিটি গঠন, বিশিষ্টদের সঙ্গে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। দেওয়াল লিখনের কাজ কতটা এগিয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, “বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী যে ভাঁওতা দিয়ে জিতেছিলেন তা খড়্গপুরের মানুষ বুঝেছে। খড়্গপুরে কম পাবে ভোট পাবে বিজেপি। আমরা জিতব।”