কীর্তনে সৌজন্য বার্তা পদ্ম প্রার্থীর

বিজেপি নেতাদের একাংশ ইতিমধ্যেই জেলায় অপরিচিত বলে সিদ্ধার্থবাবুর বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ দিন নিজেকে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ হিসাবে তুলে ধরেন প্রার্থী।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০০:১০
Share:

আলিঙ্গন: প্রচারে বেরিয়ে দেখা হয়ে গেল তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে। এগিয়ে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর। নিজস্ব চিত্র

প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দলের একাংশের। কিন্তু প্রচারের প্রথম দিন গানের সুরেই সব মুছে দিলেন কীর্তনিয়া প্রার্থী। প্রেম বিলোনোর বার্তা দিয়ে বুকে টেনে নিলেন বিরোধী তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকেও।

Advertisement

তমলুকে এ বার বিজেপির প্রার্থী কীর্তনীয়া সিদ্ধার্থ নস্কর। রবিবার সকালে নবদ্বীপ থেকে নিজের কেন্দ্রে পা দিয়েই সিদ্ধার্থবাবু বিজেপির জেলা নেতাদের নিয়ে ছোটেন বর্গভীমা মন্দিরে। পুজো দিয়ে শুরু করেন প্রচার। বিজেপি নেতাদের একাংশ ইতিমধ্যেই জেলায় অপরিচিত বলে সিদ্ধার্থবাবুর বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ দিন নিজেকে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ হিসাবে তুলে ধরেন প্রার্থী। চণ্ডীপুরে বিজেপি কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদেরও এ দিন দু’কলি কীর্তন শুনিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

এ দিন প্রথমে মন্দির থেকে বেরিয়ে ভীমারবাজার এলাকায় দোকানদার, গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি প্রার্থী। এরপর তমলুক শহরে জেলখানা মোড়ের কাছে শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত মহাপ্রভু মন্দিরে যান। সেখানে পুজো দেওয়ার পর বেরিয়েই দেখা হয়ে যায় তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝড়ুপদ বর্মনের সঙ্গে। দলের কর্মীরা পরিচয় করিয়ে দিতেই ঝড়ুপদকে জড়িয়ে ধরেন সিদ্ধার্থবাবু। দু’জনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। তিনি যে খালি হাতে ফিরতে চান না তা জানিয়ে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘‘এখানে ও কালীঘাটে পরিবারতন্ত্র চলছে। মানুষ এই পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি পাক এটা চাইছি। কেন্দ্রের উন্নয়নের স্রোতকে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু ওটা বালির বাঁধ। মানুষ তা বুঝে গিয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আপনার প্রধান প্রতিপক্ষ কে?

বিজেপি প্রার্থীর চটজলদি জবাব, ‘‘প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। আমার জয় নিশ্চিত। কারণ তমলুকে উন্নয়নের নামে ধাপ্পা দেওয়া হয়েছে।’’

পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর কটাক্ষের জবাবে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি ও আমার পরিবার রাজনৈতিকভাবে পরীক্ষিত। আমাদের পরিবারের দিকে না তাকিয়ে উনি বরং বিজেপি নেতাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন পরিবারতন্ত্র কাকে বলে। উনি বহিরাগত প্রার্থী। এখানে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানের জন্য লড়ছেন। শিল্পী হিসেবে এসেছেন, গান গাইবেন আবার চলেও যাবেন।’’

সিদ্ধার্থবাবুর নাম ঘোষণার পরে প্রথম দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এখন সুর অনেকটাই নরম বিজেপির জেলা নেতাদের। এ দিন দলের তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে বিজেপি কর্মীরা সিদ্ধার্থবাবুর সমর্থনে প্রচারে নেমে পড়েছেন। আমরা সিদ্ধার্থবাবুর জয় নিশ্চিত করতে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করব।’’ তমলুকের পর এদিন চণ্ডীপুরে দলের যুব মোর্চার সভাতেও যোগ দেন সিদ্ধার্থবাবু। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি মধুসূদন প্রামাণিক, সহ-সভাপতি রামচন্দ্র মাইতি, সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম দাস ও সম্পাদক অঞ্জন প্রামাণিক প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন