ফের ডাইন অপবাদে এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাগডুবির ঘটনায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই মহিলার পরিবারের দু’জনকেও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।
দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়ার বক্সীবাঁধে ডাইন অপবাদে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মে মাসে ডেবরায় ডাইন অপবাদে এক মহিলাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাগুলির রেশ কাটতে না- কাটতেই ফের ডাইন অপবাদে মারধরের অভিযোগ উঠল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েক মাসে বাগডুবি এলাকায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। জ্বরে ভুগেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কেন এই মৃত্যু, এলাকার কয়েকজন মাতব্বর তার খোঁজ শুরু করে। অভিযোগ, তারা ওই মহিলাকে ডাইন অপবাদ দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাগডুবিতে একটি সালিশি সভা বসে। ওই সভায় ডাকা হয়েছিল ওই মহিলা সহ পরিবারের লোকেদের। খবর পেয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের বচসাও হয়। কয়েকজন প্রশ্ন করে, এখানে পুলিশ কেন আসবে। এটা গ্রামের ব্যাপার! পরে পুলিশের ধমকে তাঁরা পিছু হটে। ওই মহিলা সহ তিন জনকে উদ্ধার করা হয়। ওই মহিলার চিকিৎসারও ব্যবস্থা
করা হয়। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কিছু এলাকায় কুসংস্কার রয়েছে। ওই সব এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, “ডাইন অপবাদ দিয়ে কাউকে মারধরের ঘটনা অনভিপ্রেত। অপরাধীদের খোঁজ চলছে। ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাই
নেওয়া হবে।” এই ঘটনার পরে বাগডুবিতে পুলিশি নজরদারি
বাড়ানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করায় ঘাটাল লোকাল কমিটির সম্পাদককে বহিষ্কার করল সিপিএম। বুধবার এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা বলেন, “দলবিরোধী কাজ এবং তৃণমূলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখার জন্য ঘাটাল পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও লোকাল কমিটির সম্পাদক তুহিন বেরাকে দলের সমস্ত পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”