কালীপুজোর আগে জুলুম দু’জেলাতেই

চাঁদা না দেওয়ায় মারধর, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার

দাবিমতো চাঁদা না মেলায় এক গরু ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। আর অভিযোগের তির এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দিকে। সোমবার রাতে গোয়ালতোড়ের কাদাশোলের ঘটনা। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুজিত মাহাতো নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতারও করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০০
Share:

দাবিমতো চাঁদা না মেলায় এক গরু ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। আর অভিযোগের তির এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দিকে। সোমবার রাতে গোয়ালতোড়ের কাদাশোলের ঘটনা। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুজিত মাহাতো নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতারও করেছে। মঙ্গলবার ধৃতকে গড়বেতা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি মঙ্গলবার চন্দ্রকোনা রোডের ধারে হাট বসে। সেখানে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, সিমলাপাল-সহ বহু দূর থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। সোমবার বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে চার গরু ব্যবসায়ী ৪০টি গরু নিয়ে ওই সড়ক ধরে ওই হাটেই আসছিলেন। আর সোমবার বিকেল থেকে গোয়ালতোড়ের পিংবনি-রামগড় সড়কে কালীপুজো উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে চাঁদা তুলছিলেন সুজিত মাহাতো। তিনি গোয়ালতোড় থানার অধীনেই সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন। কোতুলপুরের বাসিন্দা শেখ ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী তাঁর বন্ধু ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাদাশোল গ্রামে আসতেই পথ আটকায় সুজিত-সহ তাঁর সঙ্গীরা।

চাঁদার কথা বলা মাত্রই ওই ব্যবসায়ী ২০০ টাকা চাঁদা দেন। কিন্তু সুজিতদের দাবি ছিল আরও ২০০ টাকা। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন ব্যবসায়ীরা। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলার সময় আচমকাই সুজিত একটি কাঠ নিয়ে শেখ ইসলামের উপর চড়াও হয়। মারধরও শুরু করেন। মারধরের জেরে চোট পান শেখ ইসলাম। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। শেখ ইসলামকে চিকিৎসার জন্য গোয়ালতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে পুলিশই নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

যে ক্লাবের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ তার সভাপতি ননীগোপাল দণ্ডপাঠ অবশ্য বলছেন, ‘‘ক্লাবের সদস্য ও পড়িশদের চাঁদা দিয়েই আমাদের পুজো হয়। এ বার একটা বাজে ঘটনা ঘটে গিয়েছে।আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, রাতেই কাদাশোল গ্রামের নবচেতনা ক্লাবের সদস্য সিভিক ভলান্টিয়ার তথা সুজিত মাহাতো-সহ অনান্য সদস্যদের নামে থানায় মামলা করেন শেখ ইসলাম। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “আপাতত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মারধর ও জুলুমবাজি-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে শুরু হয়েছে তল্লাশি।” পুলিশ সূত্রে খবর, সুজিতকে জেরা করে ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের নাম জানার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন