পিকনিকে পরিচারিকারা, অন্য আনন্দ গনগনিতে

রান্না করা, কাপড় কাচা, বাসন ধোওয়া— সকাল থেকে সন্ধে অন্যের বাড়িতে হাড় ভাঙা খাটুনির পরেও বিশ্রাম নেই। বাড়ি ফিরেও দু’দণ্ড বসার জো নেই। সারতে হয় সংসারের যাবতীয় কাজ। পরিচারিকের বাঁধা গতের জীবনে একটু খোলা হাওয়ার স্বাদ এনে দিতে আয়োজন করা হল পিকনিকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৭
Share:

পিকনিকে চলছে রান্না। — নিজস্ব চিত্র।

রান্না করা, কাপড় কাচা, বাসন ধোওয়া— সকাল থেকে সন্ধে অন্যের বাড়িতে হাড় ভাঙা খাটুনির পরেও বিশ্রাম নেই। বাড়ি ফিরেও দু’দণ্ড বসার জো নেই। সারতে হয় সংসারের যাবতীয় কাজ। পরিচারিকের বাঁধা গতের জীবনে একটু খোলা হাওয়ার স্বাদ এনে দিতে আয়োজন করা হল পিকনিকের। উদ্যোক্তা সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর শাখা।

Advertisement

মঙ্গলবার গড়বেতার গনগনিতে বসে চড়ুইভাতির আসর। ট্রেন বা বাস ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচারিকারা এসেছিলেন। দল বেঁধে বেড়ানো, তারপর রান্না সেরে সকলে মিলে পাত পেড়ে খাওয়া। ছেলেমেয়েদেরও নিয়ে এসেছিলেন পরিচারিকারা। কচিকাঁচাদের নাচ-গান-আবৃত্তিতে জমে ওঠে চড়ুইভাতি। মেনুও ছিল জমাটি— মাংস, তরকারি, চাটনি। যাঁরা মাংস খাননি, তাঁদের জন্য ছিল মাছের পদ। এ দিন চড়ুইভাতির যাবতীয় রান্না গঙ্গা পণ্ডিত, ফেলি দোলুইদের মতো পরিচারিকারা নিজেরাই করেছেন। তবে লোকের বাড়ি রান্না করা বা নিজের হেঁশেলে হাঁড়ি চড়ানোর থেকে এ দিনের রান্নার স্বাদই আলাদা। পরিচারিকা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার সভানেত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী বলছিলেন, “সব মিলিয়ে আড়াইশো জন পরিচারিকা এসেছিলেন। ওদের একটু আনন্দ দিতেই এই আয়োজন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন