পুড়ে খাক ফিল্মসিটির ড্রাগন গেট

গেটগুলি থেকে মূল ফিল্মসিটির দূরত্ব অনেকটাই। এখন অধিকাংশ গেটেই নিরাপত্তা রক্ষী নেই। গেট থেকে অনেক দূরে কর্মীদের আবাসন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকে গেটের আগুন দেখেন কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:১৭
Share:

পুড়ে গিয়েছে ড্রাগন গেট, তা দেখতেই ভিড় ফিল্মসিটিতে। শুক্রবার চন্দ্রকোনায়। ছবি: রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য

আসল আকর্ষণটাই তো হারিয়ে গেল!

Advertisement

ফিল্ম সিটির পোড়া ড্রাগন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে শুক্রবার এমনই আক্ষেপ করছিলেন এক কর্মী। শাহরুখ খানের হাত ধরে যে ফিল্ম সিটির উদ্বোধন সময়ের বিবর্তনে তা এখন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই লড়ছে। বয়ে গিয়েছে বহু ঝড়ঝাপটা। নিয়মিত বেতনও মেলে না। তবু কোথাও যেন একটা টান রয়ে গিয়েছে। প্রথম দিন থেকে ফিল্ম সিটির সঙ্গে রয়েছেন তপন দাস। এ দিন তপন বললেন, ‘‘সুসজ্জিত ড্রাগন গেটই তো এর আসল আকর্ষণ ছিল। সবই তো গিয়েছে। এটাকেও ছাড়ল না।’’

গেটগুলি থেকে মূল ফিল্মসিটির দূরত্ব অনেকটাই। এখন অধিকাংশ গেটেই নিরাপত্তা রক্ষী নেই। গেট থেকে অনেক দূরে কর্মীদের আবাসন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকে গেটের আগুন দেখেন কর্মীরা। রাত ৮টা নাগাদ খবর দেওয়া হয় দমকলে। একটি ইঞ্জিন আসে। কাজে লাগানো হয় ফিল্ম সিটির আরেকটি ইঞ্জিন। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে সুসজ্জিত তোরণ পুড়ে খাক। কর্তৃপক্ষ এ দিন চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ বিট হাউসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কী কারণে আগুন লাগল তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ফিল্ম সিটির বর্তমান প্রজেক্ট ইনচার্জ পলাশ হালদার বলেন, ‘‘ফিল্ম সিটির প্রবেশদ্বার এই তোরণটি নির্মাণ করা হয়েছিল হায়দরাবাদের কারিগর এনে। এমনকী, ভিন রাজ্যের কারিগর এনে কারুকার্য করা হয়েছিল। আগুনে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

আগুন আগেও লেগেছে। ফিল্মসিটিতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো চুরির ঘটনা। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বুধবার স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী ফিল্ম সিটিতে চুরির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। কিন্তু ফিল্ম সিটির কর্মীরা তাদের ধরে ফেলে। এ নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের বচসাও হয়। পলাশের অভিযোগ, সেই রোষ থেকেই দুষ্কৃতীরা ড্রাগন গেটে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। গেটের কাছেই রয়েছে ঘোরানো সিঁড়ি। কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রথমে আগুন লেগেছিল গেটের উপরের অংশে। পোড়া গেট। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গেটের পোড়া অংশ। এ দিন দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, ওই পোড়া গেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন