Mamata Banerjee

নবান্ন থেকে জেলার পুজো উদ্বোধন মমতার

রেলশহরের অভিযাত্রী, আদি পুজো কমিটি, বাবুলাইন সর্বজনীন ও মহিলা পরিচালিত মৈত্রীর পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্ভুক্ত শহরের তালবাগিচা নেতাজি ব্যায়ামাগার ও সবুজ সঙ্ঘের পুজোরও উদ্বোধন করবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০০:১৪
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা আবহে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সবে দিনকয়েক আগে। অনেক মণ্ডপের সাজসজ্জা এখনও শেষ হয়নি। প্রতিমার অলঙ্করণের কাজও বাকি। অথচ নবান্নে বসে জেলার বেশ কয়েকটি পুজোর ভার্চুয়াল-উদ্বোধন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শহরের চারটি, মেদিনীপুরের দু’টি, খড়্গপুর গ্রামীণের দু’টি এবং ঘাটালের একটি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

তাঁর ভার্চুয়াল-উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে ঘাটাল শহরে ন্যাশনাল বয়েজ ক্লাবের পরিচালনায় ঘাটাল যুব ক্রীড়া সংস্থার পুজো। স্থায়ী মণ্ডপের এই পুজো এ বার ৩৪ বছরে পা দিল। করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর প্রস্তুতি চলছিল ঢিমেতালে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনের খবর আসার পরই শুরু হয় চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এ বার সেখানকার মণ্ডপ তৈরি হয়েছে পুরনো কিছু ডালপালা দিয়ে। এসে গিয়েছে প্রতিমাও। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এ বার মূলত সচেতনতার উপরেই জোর দিয়েছেন তাঁরা। দর্শকদের জন্য মণ্ডপের চারটি গেটই খোলা থাকবে। ঢোকা এবং বেরোনোর সময়ে স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা থাকবে। বিলি হবে মাস্ক। উদ্যোক্তাদের পক্ষে শুভাশিস মণ্ডল বলেন, “দর্শকরা বৃহস্পতিবার থেকেই মণ্ডপে আসতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধির যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে।” মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই পুজোর উদ্বোধন করবেন তখন মণ্ডপে থাকবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগর সর্বজনীন এবং ছোটবাজার সর্বজনীন পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো যাবতীয় ব্যবস্থাও সারা। রবীন্দ্রনগর সর্বজনীনের তরফে শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘করোনা সতর্কতায় যাবতীয় বিধি মেনেই এ বার আমরা পুজোর আয়োজন করছি। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুজোর উদ্বোধন করবেন।’’ অন্য দিকে, ছোটবাজার সর্বজনীনের তরফে পৃথ্বীশ দাস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুজোর উদ্বোধন করবেন। করোনার সতর্কতায় যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ বুধবারই রাজ্য থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে এই নির্দেশ এসেছে। তারপরই জেলা প্রশাসনে তৎপরতা শুরু হয়। খবর পেয়েই এই দুই পুজো কমিটির কর্মকর্তারা মণ্ডপসজ্জার কাজ আরও দ্রুততার শেষ করার কাজে লেগে পড়েন। বুধবার রাতের মধ্যেই মণ্ডপে প্রতিমা চলে আসবে বলে তাঁরা জানান। রাতের মধ্যেই কাজ করে আনুষঙ্গিক কাজও সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে দুই পুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।

Advertisement

রেলশহরের অভিযাত্রী, আদি পুজো কমিটি, বাবুলাইন সর্বজনীন ও মহিলা পরিচালিত মৈত্রীর পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্ভুক্ত শহরের তালবাগিচা নেতাজি ব্যায়ামাগার ও সবুজ সঙ্ঘের পুজোরও উদ্বোধন করবেন তিনি। পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, মূলত পুজোর প্রস্তুতি এখনও অনেক বাকি থাকায়, দেবী প্রতিমার আবরণ উন্মোচনের উপরই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে উদ্বোধনের আগে মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমার অলঙ্করণ রাতারাতি সারতে জোরকদমে কাজ করছেন উদ্যোক্তারা। বুধবার দিনভর চলেছে সেই প্রস্তুতি। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের খড়্গপুরে ছ’টি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন