Subrata Mukherjee

মমতাও ‘জয় শ্রীরাম’ বলেন, তবে বাড়িতে, একান্তে, স্লোগান দেন না: সুব্রত

দু’দিনের সফরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়এসেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:০০
Share:

সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও‘জয় শ্রীরাম’ বলবেন। ভোট শেষ হলে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যাবে এই স্লোগান। কোচবিহারের সভা থেকে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছিলেন অমিত শাহ। তার পাল্টা জবাব দিল তৃণমূলও। মুখ খুললেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘জয় শ্রীরাম উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেন না, তা তো নয়। বাড়িতে বলেন। যেখানে ঠাকুর আছে সেখানে বলেন। যখন স্লোগান দেওয়া হয় তখন শ্রীরামকে নামিয়ে আনেন না। বক্তৃতার মঞ্চে আনেন না,এটাই তফাৎ।’’

Advertisement

জয় শ্রীরাম নিয়ে রাজনৈতিক তরজা নতুন নয়। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাস্তার ধারে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দেওয়ার সময় দর্শকদের মধ্য থেকেই হঠাৎ জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। এর পর আর ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতাই করেননি মমতা। কোচবিহারের সভায় এসে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। কয়েকদিন আগে হলদিয়ায় এসে ‘রাম কার্ড’ প্রসঙ্গও পেড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে রাজ্য স্তরের নেতারা। তারই জবাব দিলেন সুব্রত।

দু’দিনের সফরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়এসেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। সার্কিট হাউসে জেলাশাসক রশ্মি কোমল, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি এবং বিধায়কদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন মন্ত্রী।সরকারি সফর হলেও বৃহস্পতিবার বিজেপি-র ভোট প্রচার নিয়েও আক্রমণ করেন সুব্রত। তুলে আনেন বহিরাগত প্রসঙ্গও। বললেন, ‘‘১৯৭১ সাল থেকে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি। ৫০ বছর হয়ে গেল। এই প্রথম বাইরের লোকেরা এসে পশ্চিমবঙ্গে ভোট করাচ্ছেন। পুরো দায়িত্বই নিয়ে নিয়েছেন বাইরের লোকেরা।’’

Advertisement

অমিত শাহ সভা থেকে বলেছেন, ‘‘এবারের নির্বাচনে ২০০ আসন পার করবে বিজেপি।’’ সেই নিয়েও জবাব দেন সুব্রত। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘‘২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই সরকার গড়বে তৃণমূল।’’

সরকারি কর্মসূচি অনুসারে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের শেষে জেলাশাসক রশ্মিকোমল বলেন, ‘‘মন্ত্রীর সঙ্গে জেলার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু রাস্তা করার পরিকল্পনা জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন