—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্রকে পড়াতে গিয়ে তার বাবার বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করলেন এক গৃহশিক্ষিকা। রবিবার এ নিয়ে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দাসপুর থানা এলাকায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ‘নির্যাতিতা।’ যার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে। পাশের গ্রামের বাসিন্দা গৃহশিক্ষিকা প্রতিদিনের মতো একটি বাড়িতে দুই শিশুকে পড়াতে গিয়েছিলেন। গৃহকর্ত্রী ছিলেন না বাড়িতে। অভিযোগ, ওই ‘সুযোগে’ গৃহশিক্ষিকার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন দুই ছাত্রের অভিভাবক তথা বাড়ির কর্তা। শিক্ষিকা চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। আশপাশের লোকজন ছুটে যান। এর পর বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযুক্তকে।
ওই এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বাড়ির দুই নাবালককে প্রায় ৪ বছর ধরে পড়াচ্ছেন ওই গৃহশিক্ষিকা। দুই শিশুর মা শনিবার শিবের মাথা জল ঢালতে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন ওই মহিলার বাবা। গৃহশিক্ষিকার অভিযোগ, তাঁকে বাড়িতে একা পেয়ে খারাপ প্রস্তাব দিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করেন দুই পড়ুয়ার বাবা। নিজেকে বাঁচিয়ে কোন ক্রমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন গৃহশিক্ষিকা। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করায় আমরা ছুটে গিয়েছিলাম।’’ জানা যাচ্ছে, পুরো ঘটনার কথা প্রথমে ফোন করে বাড়িতে জানান ওই শিক্ষিকা। লোক জানাজানি হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা ওই বাড়ির সামনে জড়ো হন।
ঘটনাক্রমে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে এনে মারধর করেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় ঘাটাল হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহশিক্ষিকা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।