ঝুঁকি: এভাবেই যাতায়াত করেন বাসিন্দারা। হলদিয়ায়। নিজস্ব চিত্র
বারবার প্রচার চালানো, সচেতনতা শিবিরের আয়োজন— কোনও কিছুতেই কমছে না গাড়ি, ট্রেকারে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ। যার খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রীদেরই, চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে মারা গিয়ে বা আহত হয়ে। বুধবার রাতে তেমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।
হলদিয়ার সুতাহাটার ওই ঘটনায় মৃতের নাম কালীপদ শীটের (৫০)। তিনি ভবানীপুর থানার চকদবীপা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপবাবু গতকাল পৌনে ৯টা নাগাদ সুতাহাটা থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য একটি ম্যাজিক ভ্যানে উঠেছিলেন। গাড়িতে বসার জন্য কোনও জায়গা ছিল না। বাধ্য হয়ে কালীপদবাবু গাড়ির পেছনে ঝুলতে ঝুলতেই ফিরছিলেন। যে দৃশ্য ওই এলাকায় খুবই পরিচিত।
রাস্তায় আচমকা গাড়ির রড় থেকে কালীপদবাবুর হাত ফসকে যায়। তিনি চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা কালীপদবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রথম নয়, গত দু’মাসের মধ্যে চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য তাঁরা ছোট গাড়িগুলির অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণকে দায়ী করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন এ ব্যাপারে উদাসীন। তারা ওই সব গাড়িগুলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না।
স্থানীয় এক স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অরূপ জানার কথায়, ‘‘রাস্তায় বড় যাত্রীবাহী যানবাহন খুব কম চলে। ফলে স্কুলে বা অন্য কোথাও যাতায়াতের জন্য ছোট গাড়িগুলিই ভরসা। কিন্তু রাস্তায় সেই গাড়ির থেকেও যাত্রীর সংখ্যা থাকে যথেষ্ট বেশি। ফলে গাড়ির চারিদিকে ঝুলেই ঝুলেই আমাদের স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। যার জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।’’ এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনা কমাতে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ এখন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি এতে সমস্যার সমাধান হবে।’’