ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য শহর মেদিনীপুরে। এ বার হাঁসুয়ার কোপে জখম এক যুবক।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের। অভিযোগ, শহরের দেশবন্ধুনগরে মিশন গার্লস স্কুলের অদূরে কৌশিক দাস নামে ওই যুবকের উপর তাঁরই পরিচিত একজন হাঁসুয়া নিয়ে চড়াও হয়। হাতে-পায়ে-মাথায় আঘাত করা হয় কৌশিককে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ওই যুবককে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হামলায় অভিযুক্ত সুজিত শীলকে ধরেও ফেলেছেন স্থানীয়রা। পুলিশ সুজিতকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে হামেশাই দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি প্রকাশ্যে আসছে। সপ্তাহ কয়েক আগে তেঁতুলতলার মাঠের কাছে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। ফের সেই এক যুবক হাঁসুয়ার কোপে জখম হওয়ায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, “আশঙ্কার কিছু নেই। শহরে পুলিশি নজরদারি রয়েছে। প্রয়োজনে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।”
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কৌশিকের বাড়ি কুইকোটার গাঙ্গুলিপুকুরে। আর সুজিত কুইকোটারই জেলপুকুর এলাকায় থাকে। মাছের ব্যবসায়ী সুজিতের সঙ্গে গয়নার দোকানের কর্মী কৌশিকের বেশ কয়েক বছরের পরিচয়। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করে কৌশিককে দেশবন্ধুনগরের কাছে আসতে বলে সুজিত। কৌশিক গেলে আচমকাই তাঁর উপর হাঁসুয়া নিয়ে হামলা করে সুজিত। আশপাশে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ছিল।
কিন্তু তারা আসার আগেই হাঁসুয়ার ৬-৭টি কোপে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছেন কৌশিক। স্থানীয়রাই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করান। আর সুজিতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু কেন হামলা চালাল সুজিত?
কৌশিকের স্ত্রী ময়না দাসের দাবি, টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। সুজিতের কাছে টাকা পেতেন কৌশিক। বারবার বলা সত্ত্বেও সুজিত দেননি। সেই নিয়েই অশান্তি।