Justice Biswajit Basu

ওঁদের ‘মিষ্টি মিষ্টি’ কথা শুনতে চান না! অবসরের দিন কলকাতা হাই কোর্টে সংবর্ধনা নিতে নারাজ বিচারপতি বসু

প্রথামাফিক কোনও বিচারপতির অবসরের আগে ‘ফুল কোর্ট’ করা হয়। সেখানে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ সব বিচারপতি উপস্থিত থাকেন। অবসরের আগে সেই বিচারপতিকে হাই কোর্টে আইনজীবীদের তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩১
Share:

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। — ফাইল চিত্র।

অবসরের আগে বিদায় সংবর্ধনা নেবেন না কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আগামী ৩ জানুয়ারি তাঁর অবসর। বিচারপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, অভিমান এবং খারাপ লাগা থেকেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বিষয়ে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েও জানিয়েছেন বিচারপতি বসু।

Advertisement

প্রথামাফিক কোনও বিচারপতির অবসরের আগে ‘ফুল কোর্ট’ করা হয়। সেখানে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ সব বিচারপতি উপস্থিত থাকেন। অবসরের আগে সেই বিচারপতিকে হাই কোর্টে আইনজীবীদের তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা দেন বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি এবং ইনকর্পোরেট ল’সোসাইটির আইনজীবীরা।

অভিযোগ ওঠে, গত জুলাই মাসে হাই কোর্ট চত্বরে উচ্চ প্রাথমিকের একটি মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বিচারপতি বসুর ছবির উপর পা দিয়ে মাড়িয়ে দেন। তাঁর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি দেখানোর পরেও আইনজীবীদের তরফে কোনও প্রতিবাদ করা হয়নি।

Advertisement

বিচারপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছেন, অতীতে ২০ বছর তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। সেখান থেকেই বিচারপতি হয়েছেন তিনি। এর পরেও ওই সময়ে যে ভাবে অপমান করা হয়েছিল তখন কেউ নিন্দা প্রকাশ করে এগিয়ে আসেননি। কেউ কোনও বিবৃতি দেয়নি। এখন বিদায়ের দিন আইনজীবীদের কাছে মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনতে চান না তিনি। তাই তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকছেন না।

বস্তুত, বিচারপতির ছবি পা দিয়ে মাড়িয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় অতীতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল হাই কোর্ট। আদালত অবমাননার মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের ভর্ৎসনাও করেছিল হাই কোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ গত জুলাই মাসে প্রশ্ন করেছিল, ‘‘বিক্ষোভে একজন বিচারপতির ছবি রাখার অর্থ কী? তাঁর ছবির উপর পা তুলে দেওয়া হচ্ছে! এটা কি হতাশার নমুনা? বিচারপতিকে সম্মান জানাচ্ছিলেন না, এটা তো নিশ্চিত।’’ ওই ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement