আত্মীয়ের শিশুকন্যাকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে হলদিয়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রজনাথচকে ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ব্রজনাথচকের এক বাসিন্দার দু’বছরের বাচ্চা মেয়েকে বিক্রির চেষ্টা করেছিল তাঁদেরই আত্মীয় ভোলানাথ। অভিযোগ, মা-বাবার অজান্তেই সে ওই শিশুকন্যাকে বিক্রি করতে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগযোগ করেছিল।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে ব্রজনাথচকে বরুণ জানা নামে এক ব্যক্তি ওই শিশুকন্যার খোঁজ করেন। তাঁর মোবাইলে ওই শিশুকন্যার ছবি দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ জাগে। চেপে ধরতেই বরুণ তাঁদের জানায়, ওই শিশুকে বিক্রি করা হচ্ছে। নন্দকুমারের এক পরিবারের তরফে সে ওই শিশুর খোঁজ নিতে এসেছে। এর পরেই বরুণকে আটক করেন স্থানীয়েরা। তাকে হলদিয়া টাউনশিপ ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে হলদিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের শিশুটির পরিবার।
ভোলানাথ যে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বলে দাবি ওই পরিবারের। শিশুটির মা বলেন, ‘‘মাস খানেক আগে ভোলানাথ মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল। তখন বুঝতে পারিনি ও এভাবে ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করেছে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ঘটনা জানতে পারি।’’ নন্দকুমারের যে পরিবার ওই শিশুটিকে নিয়ে আগ্রহী হয়েছিল, তাদের দাবি, বাচ্চাটি অনাথ বলে তাদের জানানো হয়েছিল। তারা প্রশাসনিকভাবেই বাচ্চটিকে ‘দত্তক’ নিতেই চেয়েছিলেন। সেই জন্য খোঁজ নিতে ব্রজনাথচকে বরুণকে পাঠানো হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত ভোলানাথ পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তের বাবা নিমাই সামন্তের অবশ্য বলেন, ‘‘এসব সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’’