তোড়জোড়েই থমকে পুরসভার ওয়েবসাইট

বহু পুরসভারই ওয়েবসাইট আছে। এখন তারা ফেসবুক-ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নাম লেখানোর কথা ভাবছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে মেদিনীপুর পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০০:২০
Share:

মেদিনীপুর পুরভবন।—ফাইল চিত্র।

বহু পুরসভারই ওয়েবসাইট আছে। এখন তারা ফেসবুক-ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নাম লেখানোর কথা ভাবছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে মেদিনীপুর পুরসভা। দেড়শো বছরের পুরনো এই পুরসভার নিজস্ব কোনও ওয়েবসাইটই নেই!

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার। অর্থাৎ প্রাচীনত্বের পাশাপাশি এই পুরসভা যথেষ্ট বড়ও। ফলে, পুরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে একদিকে যেমন জনসংযোগ বাড়ত, শহরবাসীও পুর-উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারতেন। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম। কারণ, এই প্রজন্মের একটা বড় অংশ কম্পিউটর-মোবাইল দুনিয়ার বাসিন্দা। পুরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইট চালুর প্রয়োজন রয়েছে বলে মানছেন তৃণমূল পরিচালিত পুর-কর্তৃপক্ষও। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “পুরসভার ওয়েবসাইট চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটি যাতে আকর্ষণীয় হয়, সেই চেষ্টাও করছি। হয়তো আগামী মাসেই এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হবে।” এই কাজ অনেকটা এগিয়েছে বলেই জানান উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস।

তথ্যপ্রযুক্তির এই দুনিয়ায় ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাতেও ‘ই-গভর্ন্যান্স’ চালুর ব্যবস্থা হয়েছে। এই পদ্ধতি চালু হলে ফাইল চালাচালির দিন শেষ হবে। কাজে স্বচ্ছতা আসবে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও কমবে। সব দফতরে অনলাইন ব্যবস্থা চালুরও চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল এখন অনলাইনে জমা দেওয়া যায়। ডিজিট্যাল করা হচ্ছে রেশন কার্ড, হাসপাতালে ই-প্রেসক্রিপশন, সরকারি বাসেও ই-টিকিট চালুর ব্যবস্থা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে জেলার পঞ্চায়েত সমিতিগুলোরও যেখানে ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে সদর শহরের পুরসভার ওয়েবসাইট না থাকাটা অনেকের কাছেই বিস্ময়ের।

Advertisement

মেদিনীপুর পুরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৬৫ সালে। গত ১ এপ্রিল পুরসভা দেড়শো বছরে পা দিয়েছে। তখন শিয়রে লোকসভা ভোট। ফলে, নিঃশব্দেই পেরিয়ে গিয়েছে ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য ঘটা করেই সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনে উদ্যোগী হয়েছেন। কমিটিও গড়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ওই কমিটিকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়াও হয়েছে। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে এই খাতে আরও অর্থ বরাদ্দ হবে। পুরপ্রধান প্রণববাবু বলেন, “অগস্টেই সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। আগামী এক বছর ধরে নানা কর্মসূচি হবে।” এই পর্বেই পুরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করতে চান পুর-কর্তৃপক্ষ। ওয়েবসাইটে পুরসভার অতীত ইতিহাস থাকার কথা। নানা ভাবে সেই ইতিহাস খোঁজার চেষ্টা করছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করার সব রকম চেষ্টা চলছে। এখানে নতুন ভাবনাও থাকবে। আশা করি, এটি জনসংযোগেরও মাধ্যম হয়ে উঠবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন