বহির্বিভাগে ডাক্তার নেই অথবা রোগীদের পরিজনেদের সঙ্গে নার্সদের দুর্ব্যবহার— সরকারি হাসপাতালে এমন অভিযোগ ভুরি ভুরি। অভিযোগের বহর কমাতে এ বার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে দফায়-দফায় বৈঠক করলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
শুক্রবার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত বৈঠকে চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে পরিষেবার মান আরও উন্নত করার আবেদন জানানো হয়। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার, রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল ঘোষ, সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের উপর মহকুমার দশটি ব্লকের মানুষ নির্ভরশীল। নিত্যদিন হাসপাতালে রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। যদিও হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায়ই চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ ওঠে। রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, বহির্বিভাগে চিকিৎসক থাকলেও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে প্রায়ই তাঁরা টেবিল ছেড়ে উঠে যান। দীর্ঘক্ষণ পরে ফিরে আসেন। আর গরমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগের শিকার হন রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। সম্প্রতি হাসপাতালে কয়েকটি শিশু মৃত্যুর ঘটনাতেও চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্সদের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
সমস্যা মেটাতেই এ দিন রোগী কল্যাণ সমিতি ও জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের যৌথ উদ্যোগে বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে সময়ে বহির্বিভাগে যাওয়া, যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয় চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে। রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মলবাবু বলেন, “চিকিৎসক ও নার্সদের কাজে কখনও কখনও ফাঁক থেকে যায়। আরও মানবিকভাবে যাতে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় সেই আবেদন জানানো হয়েছে।’’ কয়েকদিনের মধ্যেই শহরের অদূরে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলছেন, “চিকিৎসক ও নার্সরা যাতে রোগীদের আরও উন্নত পরিষেবা প্রদান করেন সে জন্য বৈঠক হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা দায়িত্ব পালন করছেন কি না তা পর্যালোচনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে করতে বলেছি।”