কালো গোলাপে প্রতিবাদ হিংসুটেদের

মূল উদ্যোক্তা তিন জন। দেবরাজ দাস, নিসর্গ নির্যাস মাহাতো, সৈকত মান্না। গত বছর হঠাৎই তিন জনের মনে হয়েছিল, বেকারদের প্রেমের কোনও অর্থ হয় না। স্বনির্ভর না হলে প্রেম করার প্রয়োজন নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেকার তরুণ-তরুণীরা প্রেম করুন, চান না ‘মেদিনীপুর সিঙ্গল হিংসুটে কমিটি’। তাই ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিনটি ‘কালা দিবস’ হিসাবে পালন করে কমিটি। গত বছর করেছিল। এ বছর বুধবার মেদিনীপুরের রাজনারায়ণ পাঠাগারের সামনে রং করা কালো গোলাপ নিয়ে, কালো পোশাক পরে আর কালো রঙের ফ্লেক্স ধরে তাদের ‘দিবস’ প্রচার করল কমিটি।

Advertisement

মূল উদ্যোক্তা তিন জন। দেবরাজ দাস, নিসর্গ নির্যাস মাহাতো, সৈকত মান্না। গত বছর হঠাৎই তিন জনের মনে হয়েছিল, বেকারদের প্রেমের কোনও অর্থ হয় না। স্বনির্ভর না হলে প্রেম করার প্রয়োজন নেই। তাই খুলে ফেললেন হিংসুটে কমিটি। আস্তে আস্তে তাঁদের মতে মিল হল আরও কয়েকজনের। এখন কমিটির সদস্য সংখ্যা জনা বারো। দলে তিন জন মেয়েও রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে আসতে সংকোচ করেন। দলের সকলেই বেকার। চাকরির খুঁজছেন।

কমিটি কি আসলে প্রেম বিরোধী? নিসর্গের ব্যাখ্যা, ‘‘প্রেম বিরোধী নই। কিন্তু এই দিনটা নিয়ে এত মাতামাতি কেন? তাছাড়া এই দিনে শোকপালন করা উচিত। কারণ সন্ত ভ্যালেন্টাইনকে ভালবাসার প্রচারের জন্য এদিন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।’’ কিন্ত লোকে যে কমিটির হিংসুটে শব্দটায় ভুল বুঝবে? দেবরাজের দাবি, ‘‘ব্যঙ্গ করে শব্দটা দেওয়া হয়েছে। এখন সত্যিকারের প্রেম বলে কিছু হয় না। সবটাই তো হুজুগ।’’

Advertisement

সত্যিই কি ঈর্ষার কোনও সম্পর্ক নেই? গোপন কথাটা ফাঁস করেন নিসর্গ। বলেন, ‘‘আমাদের দলের অনেকেই প্রেমে আঘাত পেয়েছি। বেকারদের প্রেমে আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। সেই আঘাত যাতে অন্য বেকারেরা না পান, তাই সচেতন করি।’’ তবে তীব্র প্রতিবাদ করেন ঈর্ষার কথায়। প্রেম যাঁরা করছেন তাঁদের প্রতি কোনও বিদ্বেষ নেই কমিটির সদস্যদের। প্রেম করুন তাঁরা। তবে নিজের পকেটের জোরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন