লুট করতে গিয়ে এটিএমেই ‘বন্দি’

বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমটিতে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না। সুযোগ বুঝে সেই এটিএমে মুখে গামছা জড়িয়ে ঢুকে পড়ে সাদ্দাম। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে সবে এটিএম মেশিন ভাঙা শুরু করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

গভীর রাতে মুখে গামছা জড়িয়ে এটিএমে ঢুকে প্রথমেই ভেঙে দিয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। ধরা পড়ার আর তেমন কোনও সুযোগ থাকল না— এই ভেবে নিশ্চিত মনে ভাঙা শুরু করেছিল এটিএম মেশিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল কই! পাশের হোটেলের প্রহরীর তৎপরতায় এটিএম-বন্দি হতে হল ওই দুষ্কৃতীকে। বুধবার গভীর রাতে দিঘায় এটিএম ভাঙার চেষ্টায় পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত সাদ্দাম হোসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বাসিন্দা।

Advertisement

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, নিউ দিঘা ক্ষণিকা মার্কেটের কাছে, সমুদ্রর দিকে যাওয়ার পথে দু’টি এটিএম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। অন্যটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের। বুধবার রাত ৩টা নাগাদ ওই এলাকায় আসে সাদ্দাম। এলাকা তখন শুনশান। বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমটিতে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না। সুযোগ বুঝে সেই এটিএমে মুখে গামছা জড়িয়ে ঢুকে পড়ে সাদ্দাম। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে সবে এটিএম মেশিন ভাঙা শুরু করেছিল। কিন্তু সেই আওয়াজ সুনতে পেয়ে যায় পাশের হোটেলের নৈশ প্রহরী সুনীলকুমার মিশ্র।

সুনীল বাইরে বেরিয়ে দেখতে পান, সাদ্দাম এটিএম মেশিন ভাঙছে। এরপর ওই নৈশপ্রহরী এলাকার কয়েকজন রিকশা চালক এবং স্থানীয় বাসিন্দাকে ডেকে আনেন। সাদ্দাম পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁরা বাইরে থেকে এটিএম কাউন্টারের শাটার টেনে লাগিয়ে দেন। ভেতরেই থেকে যায় সাদ্দাম। খবর দেওয়া হয় থানায়। দিঘা থানার পুলিশ শাটার খুলে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সাদ্দাম গত ১৭ মার্চ দিঘা এসেছিল। দিঘা স্টেশন সংলগ্ন একটি খাবারের দোকানে কর্মী হিসাবে কাজ সুরু করে সে। সেখানে কাজ করতে করতেই দিঘার বিভিন্ন এটিএমের উপরে নজরদারি শুরু করে সাদ্দাম। যদিও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম প্রথমে মুখ খুলতে চায়নি। পরে তার নাম, বাড়ির ঠিকানা-সহ বেশ কিছু তথ্য জানায়।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি, সাদ্দামের সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত রয়েছে। তা না হলে এত রাতে সে একা এভাবে এটিএম মেশিন ভাঙার সাহস করত না। বৃহস্পতিবার সাদ্দামকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাবে সেই এটিএম সেন্টারটি প্রহরীবিহীন ছিল কেন সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন