প্রতীকী ছবি।
স্কুলের মিড-ডে মিলের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফিরছিলেন এক কর্মী। মোটরবাইকের বাক্সে টাকার ব্যাগ রেখে বাবুলাল মণ্ডল নামে ওই কর্মী এটিএমে ঢুকেছিলেন। অভিযোগ, তিনি ফিরে এসে দেখেন বাইকের বাক্স ভাঙা। উধাও টাকার ব্যাগও। এরপরে বাসে উঠে দুষ্কৃতী পালানোর চেষ্টা করলেও ধাওয়া করে ধরলেন বাবুলালবাবু। উদ্ধার হয় খোওয়া যাওয়া টাকাও। সোমবার সকালে তমলুক থানার কাঁকটিয়া বাজারে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারের সামনের ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুলালবাবু তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই ইউনিয়ন হাইস্কুলের কর্মী।
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ কাঁকটিয়া বাজারে তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে স্কুলের মিড-ডে মিলের বিভিন্ন সামগ্রীর জন্য বরাদ্দ প্রায় ৯৫ হাজার টাকা তোলেন। মোটরবাইকের বাক্সে টাকার ব্যাগ রেখে দেন তিনি। এরপর ওই বাজারে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে বাইক রেখে নিজের টাকা তোলার জন্য একটি এটিএম কাউন্টারে ঢোকেন বাবুলালবাবু।
অভিযোগ, কাউন্টার থেকে বের হওয়ার পরেই তিনি দেখতে পান মোটরবাইকের বাক্স ভাঙা। উধাও টাকার ব্যাগও। বাবুলাল দেখতে পান, এক ব্যক্তি তাঁর টাকার ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছে। ওই দুষ্কৃতী টাকার ব্যাগ নিয়ে কাছেই থাকা বাসস্টপে হলদিয়াগামী একটি বাসে উঠে পড়েন বলে অভিযোগ।
এরপরেই বাবুলালবাবু মোটরবাইক নিয়ে ওই বাসের পিছনে ধাওয়া করে। তমলুক শহরের মানিকতলার কাছে চিৎকার করে বাবুলালবাবু ওই বাসটি থামান। ঘটনার কথা জানানোর পরেই বাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
চালক ও খালাসির সাহায্য নিয়ে বাসের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। তাঁর থেকে বাবুলালবাবুর টাকার ব্যাগও উদ্ধার করা হয়। টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
খারুই ইউনিয়ন হাইস্কুলের প্রধান তপন বেরা বলেন, ‘‘স্কুলে মিড-ডে মিলের বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার জন্য ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে এসেছিলেন বাবুলালবাবু। এটিএমের সামনে মোটরবাইকের বাক্সে টাকার ব্যাগ রেখে ভিতরে ঢুকেছিলেন তিনি। সেই সময় এক দুষ্কৃতী বাক্স ভেঙে টাকা ছিনতাই করেছিল। ওই দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে। টাকাও উদ্ধার হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।