মেচেদায় দিনে-দুপুরে ছিনতাই আড়াই লক্ষ

শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে কোলাঘাট থানার মেচেদা বাজারে শিশু উদ্যানের কাছে। খবর পেয়েই কোলাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এদিন রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০২:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্ক থেকে আড়াই লক্ষ টাকা তুলে সাইকেলে চেপে বাজারে যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই লক্ষ ছিনতাই করে মোটর বাইকে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে কোলাঘাট থানার মেচেদা বাজারে শিশু উদ্যানের কাছে। খবর পেয়েই কোলাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এদিন রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চলছে। দিনের বেলায় জনবহুল এলাকায় এণন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দা সকলেই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট থানার বরনান গ্রামের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর কানাইলাল ঘড়া মেচেদা পানবাজারের ব্যবসায়ী। এ দিন বেলা ১১ টা নাগাদ কানাইবাবু মেচেদা বাজারের পাঁচমাথার মোড়ে জাতীয় সড়কে ফ্লাইওভার সংলগ্ন একটি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা তোলেন। টাকা একটি ব্যাগে ভরে সাইকেলের সামনে থাকা একটি ঝুড়িতে রেখে তিনি মেচেদা পান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বাঁপুর খালের পাশের রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় হঠাৎই একটি মোটরসাইকেলে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর পথ আটকায়। কানাইবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর সাইকেল আটকে মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তিনি আপত্তি করলে তারা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটরবাইকে চেপে পালায়। ব্যাগে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ছিল।

Advertisement

কানাইবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার সময় থেকেই কানাইবাবুর পিছু নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, তার কয়েক’শ মিটার দূরেই মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে কোলাঘাট থানার ফাঁড়ি। দুষ্কৃতীরা যে কতটা বেপরোয়া এতেই তার প্রমাণ মিলেছে। তাঁরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন