জখম তৃণমূল কর্মী মনীশ প্রামাণিক। নিজস্ব চিত্র
কাঁথির চাঁদবেড়িয়ার নিখোঁজ তৃণমূল নেতা রীতেশ রায়ের দেহ হুগলির দাদপুর থেকে উদ্ধারের পর এ বার এক তৃণমূল কর্মীর আক্রাম্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল।
সোমবার রাতে এগরার ভগবানপুর থানার মহম্মদপুরে শুক্রবারের বাজার সংলগ্ন এলাকায় মনীশ প্রামাণিক নামে ওই তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মী ভগবানপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভগবানপুর-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’
ভগবানপুর বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত কর বলেন, ‘‘বিজেপি হিংসার রাজনীতি করে না। তোলাবাজির টাকা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে ওরা বিজেপির উপর মিথ্যা দোষারোপ করছে।’’
জখম ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি গুড়গ্রাম-১ পঞ্চায়েতের গুড়গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি গোয়ালাপুকুর বাজারে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, গোয়ালাপুকুরে কেবল টিভির অফিসে বাড়ির কেবল টিভির ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে সেখানে আড্ডায় বসেছিলেন মনীশ। রাত দশটা নাগাদ তিনি ২ কিলোমিটার দূরে গুড়গ্রামে বাড়ির দিকে রওনা হন। তাঁর অভিযোগ, দেড়েদিঘির খালের উপর সেতু পেরিয়ে শুক্রবারের বাজারের অদূরে রাস্তায় জনা চারেক দুষ্কৃতী তাঁর বাইক ঘিরে ধরে। তাদের প্রত্যকের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। অন্ধকারে বাইক থেকে টেনে মাটিতে ফেলে তাঁকে ভোজালি দিয়ে কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তাঁর হাতে, পায়ে কোপ পড়ে। মনীশের কথায়, ‘‘অন্ধকারে ওরা এলোপাতাড়ি কোপ মারছিল। হঠাৎই ওদের একজন মোবাইলের আলোয় আমার মুখটা দেখেই বলে ওঠে ‘ওরে এ নয়, ভুল হয়েছে’। তারপর আমার গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’ তাঁর দাবি, দুষ্কৃতীরা ভুল করে তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভগবানপুর থানার পুলিশ। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে ভগবানপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। প্রসঙ্গত যে জায়গায় হামলা হয়, সেখান থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে ভেড়ি কাণ্ডে নিহত নান্টু প্রধানের বাড়ি।