কটকে অনুশীলনে শুভমন গিল। ছবি: এক্স।
দু’জনেই চোট সারিয়ে ভারতীয় দলে ফিরেছেন। তবে কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে দু’রকম ছবি দেখা গেল। এক দিকে নেটে দু’ঘণ্টা ব্যাট করলেন শুভমন গিল, অন্য দিকে অনুশীলনে এলেনই না হার্দিক পাণ্ড্য। অনুশীলনে ক্যাচিংয়ের দিকে বাড়তি নজর দিতে দেখা গেল ভারতীয় দলকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম টেস্টের মাঝে ঘাড়ের ব্যথায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল শুভমনকে। তার পর থেকে মাঠের বাইরে তিনি। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ও এক দিনের সিরিজ় খেলেননি। বেঙ্গালুরুতে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে রিহ্যাব শেষে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র নিয়ে কটকে খেলতে এসেছেন তিনি। প্রত্যাবর্তন যাতে খারাপ না হয়, তার জন্য প্রস্তুতিতে খামতি রাখেননি শুভমন। সোমবার নেটে দু’ঘণ্টা ব্যাট করেছেন তিনি।
অনুশীলন দেখতে অবাধ প্রবেশের অনুমতি থাকায় কটকের স্টেডিয়ামে প্রায় ৫ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। শুভমন প্যাড পরে নেটে যাওয়ার সময় শুরু হল চিৎকার। তাঁর প্রতিটি শটে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন দর্শকেরা। ব্যাটিংয়ের আগে ফিল্ডিং অনুশীলন করেন শুভমন। তার পর নেটে যান তিনি। সেখানে জসপ্রীত বুমরাহ, অর্শদীপ সিংহ, অক্ষর পটেল ও অভিষেক শর্মার বিরুদ্ধে ব্যাট করলেন শুভমন। মাঝে নেটের পাশে দাঁড়িয়ে কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা বলেন শুভমন। তার পর পাশের নেটে গিয়ে বড় শটের অনুশীলন করেন তিনি। বেশ কয়েকটি বল গ্যালারিতে পাঠান। শুভমনকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, ঘাড়ে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েই মাঠে নেমেছেন তিনি।
শুভমন ছাড়াও তিলক বর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিষেক শর্মা, শিবম দুবে, সঞ্জু স্যামসনদের নেটে ব্যাট করতে দেখা যায়। শিবম ও সঞ্জু মূলত বড় শটের অনুশীলন করছিলেন। সঞ্জুকে দেখে বোঝা গেল, জিতেশ শর্মার বদলে তাঁর খেলার সম্ভাবনা বেশি। হার্দিককে অনুশীলনে না দেখা গেলেও তাঁর খেলা প্রায় নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে অনুশীলন করলেও ভারতের প্রথম একাদশে শিবমের খেলার সম্ভাবনা কম।
ব্যাটিং, বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং ও ক্যাচিংয়ে বাড়তি নজর দিতে দেখা গেল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ অনেক ক্ষণ অনুশীলন করালেন। রাতের আকাশে উঁচু ক্যাচ ধরার অনুশীলন বেশি চলল। শিশির পড়লে ক্যাচ ধরা কঠিন। তাই ভেজা বলে ক্যাচ ধরার অনুশীলন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, কটকে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ ডিসেম্বর চণ্ডীগড়, ১৪ ডিসেম্বর ধর্মশালা, ১৭ ডিসেম্বর লখনউ ও ১৯ ডিসেম্বর অহমদাবাদে হবে পরের চারটি ম্যাচ। দু’মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় এই সিরিজ়কে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসাবে দেখছে দু’দল।