বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের

জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল সাইকেল আরোহী এক যুবকের। সোমবার বিকেলে পাঁশকুড়ার দিগলাবাড় গ্রামের কাছে হাওড়া-খড়গপুর ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০১:২৮
Share:

জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল সাইকেল আরোহী এক যুবকের।

Advertisement

সোমবার বিকেলে পাঁশকুড়ার দিগলাবাড় গ্রামের কাছে হাওড়া-খড়গপুর ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। সঞ্জয় ধাড়া (৩৫ )ওই ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় প্রথমে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ওই গাড়ি চালকের কোনও গাফিলতি ছিল কি না তার তদন্ত শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে বিধায়কের কী ভূমিকা ছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার তৃণমূল বিধায়ক ছায়া দলুই সোমবার দুপুরে নিজের গাড়ি চেপে কলকাতা থেকে ফিরছিলেন। দিগলাবাড় গ্রামের কাছে গাড়িটি ধাক্কা মারে সাইকেল আরোহী যুবক সঞ্জয় ধাড়াকে। গুরুতর আহত হন ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরে গাড়ির সামনের কাচে ছিটকে পড়া আহত সঞ্জয়কে উদ্ধার না করে গাড়িটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন চালক। গাড়ির সামনে এ ভাবে একজনকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িটি ঘিরে ধরেন। তখনই স্থানীয়দের নজরে আসে গাড়িতে বিধায়কের বোর্ড লাগানো রয়েছে।

স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও ছুটে যান। অন্য একটি গাড়ি চেপে বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীরা চলে যান। গুরুতর আহত ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পর আহত যুববকে উদ্ধার না করে গাড়ি নিয়ে পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক ছায়া দলুই। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক ধরে আসার সময় গাড়িতে আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। তবে দুর্ঘটনার পরই গাড়ি থামিয়ে আহত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম আমিই। ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর অভিযোগ অমূলক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন