প্রস্তুতি: আজ, মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। আগের দিন সোমবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে চলছে সিটে রোল নম্বরের স্টিকার লাগানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র
উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে আজ, মঙ্গলবার। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও পরীক্ষাকক্ষে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না শিক্ষকেরা। পরীক্ষাকেন্দ্রের নজরদারিতে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা (ইনভিজিলেটর) পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে সেন্টার সেক্রেট্যারির কাছে ‘সুইচ অফ’ করে মোবাইল ফোন জমা দেবেন। তবেই তাঁরা যে যাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা-ঘরগুলিতে যেতে পারবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২,৫৬৯। এরমধ্যে ছাত্র ২০,৩৮২। ছাত্রী ২২,১৮৭। পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র ৮০টি। পাশের জেলা ঝাড়গ্রামে মোট উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী- ১০,৫১২। এর মধ্যে ছাত্র ৫,৩৮৫, ছাত্রী ৫,১২৭। মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫টি।
অন্যবারের মতো এ বছরও উচ্চ মাধ্যমিকের ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যেখানে গোপন ক্যামেরা থাকবে। ঠিক কোন কোন কেন্দ্রের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন তা পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্রের তালিকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদের এক আধিকারিকের কথায়, “ভিডিওগ্রাফি থাকছে। প্রশাসন যে যে কেন্দ্রগুলোয় ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করেছে, সেখানেই এই ব্যবস্থা করছে।” পরীক্ষার সময় নকল বা টোকাটুকি করার অভিযোগ নতুন নয়। প্রতি বছরই এমন অভিযোগ ওঠে। শিক্ষকদের একাংশের মতে, গোপন ক্যামেরা থাকার ফলে পরীক্ষার্থীরা নকল করলে তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে যাবে। তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাও সম্ভব হবে।
ঝাড়়গ্রামে দূরের পরীক্ষার্থীদের জন্য যাত্রীবাহী মিনি বাস ও ট্রেকারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য সংসদের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মহকুমাশাসক (ঝাড়গ্রাম সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।”