‘রুসা’-র টাকায় ভোল বদলাবে দুই কলেজের

মেদিনীপুর কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ দুলালচন্দ্র দাস বলছিলেন, “রুসা-র ২ কোটি টাকা কলেজ পাবে। নতুন ভবন তৈরি-সহ ওই টাকায় বেশ কিছু কাজ হবে। সেই মতো পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা মতো কাজ হলে পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হবে।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০০:২৩
Share:

কোনও কলেজে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে গ্রন্থাগার। আবার কোথাও কম্পিউটার ল্যাবে কম্পিউটার নেই। পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে ২ কোটি টাকা করে পাচ্ছে মেদিনীপুরের কমার্স কলেজ ও গোয়ালতোড় কলেজ। কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান’ (আরইউএসএ) ‘রুসা’ থেকে এই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।

Advertisement

‘রুসা’র টাকায় কলেজের পরিকাঠামোর উন্নয়নের কাজ হবে বলেই জানাচ্ছেন গোয়ালতোড় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরূপরতন চক্রবর্তী।। মেদিনীপুর কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ দুলালচন্দ্র দাস বলছিলেন, “রুসা-র ২ কোটি টাকা কলেজ পাবে। নতুন ভবন তৈরি-সহ ওই টাকায় বেশ কিছু কাজ হবে। সেই মতো পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা মতো কাজ হলে পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হবে।’’

কমার্স কলেজের সবথেকে বড় সমস্যা জায়গা। কলেজের এক সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য মেদিনীপুরের অন্যত্র জমি চাইতে পারে কলেজ। জমি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হতে পারে। গোয়ালতোড় কলেজের পঠনপাঠন শুরু হয় ২০০৫ সালে। এখানে ১২টি বিষয়ে স্নাতক স্তরে পড়ানো হয়। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে এখানে রয়েছে সাঁওতালি ভাষায় অনার্স নিয়ে পড়ার ব্যবস্থাও। রয়েছে তফসিলি জাতি-জনজাতির ছাত্রীদের জন্য হস্টেলও। গত বছর কলেজ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে গিয়েছিলেন ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন’ (নাক)-এর প্রতিনিধিরা। ‘নাক’-এর বিচারে গোয়ালতোড় কলেজ পেয়েছে ‘বি প্লাস’-এর তকমা। বছর দেড়েক আগে কমার্স কলেজে পরিদর্শনে আসে নাক। নাক- এর মূল্যায়নে কলেজ ২.৫১ পয়েন্ট পায়। এরপরই রুসা-র জন্য আবেদনের স্বীকৃতি মেলে। কলেজ সেই আবেদনও করে। রুসা-র বরাদ্দ অর্থে ঠিক কী কাজ হবে? কলেজের এক সূত্রে খবর, পুরনো ভবনের অদূরেই নতুন ভবন হবে। এ ছাড়াও কম্পিউটার ল্যাবের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ আরও নানা কাজ হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement