monkey

ওষুধের দোকানে ঢুকে টেবিলে শুয়ে পড়ল হনুমান! গরমে চায়ে অরুচি, ওআরএস খেয়ে আবার লম্ফঝম্প

বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় ওষুধের দোকানে আসে একটি হনুমান। তখন দোকানের মালিক-সহ চার কর্মচারী চা-বিস্কুট খাচ্ছিলেন। তাঁরা জানান, হনুমানটি ওষুধ দোকানে ঢুকে সামনের টেবিলের উপর শুয়ে পড়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৫ ১৭:১৬
Share:

যেই ক্যামেরা, দিচ্ছ খালি পোজ়: ওআরএসের প্যাকেট হাতে হনুমান। —নিজস্ব চিত্র।

প্রচণ্ড গরমের আঁচ তাদের গায়েও লেগেছে। গরমে অসুস্থ হলে কী করতে হবে, সেটাও বিলক্ষণ বোঝে তারা। তাই তেতেপুড়ে গাছ থেকে নেমে সোজা সে ঢুকে পড়ল ওষুধের দোকানে। তার পর সটান টেবিলে টানটান করে শয়ন! হনুমানের কাণ্ড দেখে অবাক ওষুধ দোকানি। চা-বিস্কুট রেখে কর্মচারীরা শুরু করলেন হনুমানের শুশ্রূষা। সবার সেবাটেবা নিয়ে ওআরএস খেয়ে আবার হনুমান বেরিয়ে পড়ল খাঁ-খাঁ রোদে।

Advertisement

বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় ওষুধের দোকানে আসে একটি হনুমান। তখন দোকানের মালিক-সহ চার কর্মচারী চা-বিস্কুট খাচ্ছিলেন। তাঁরা জানান, হনুমানটি ওষুধ দোকানে ঢুকে সামনের টেবিলের উপর শুয়ে পড়ে। তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিল। এক জন চা-বিস্কুট এগিয়ে দিয়েছিলেন ‘অতিথি’র দিকে। তবে কয়েকটা বিস্কুট খেয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয় হনুমানটি। আবার শুয়ে পড়ে সে। শারীরিক অবস্থা দেখে ওষুধ দোকানের এক কর্মী মাথায় হাত বুলিয়ে ওআরএস খাইয়ে দেন। তার পরেই আবার চনমনে হয়ে যায় সে।

আসলে গরমের কারণেই যে হনুমানটি কাহিল হয়ে পড়েছে, বুঝতে দেরি হয়নি ওষুধ দোকানদারের। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা, প্রায় দেড় ঘণ্টা তার সেবাযত্ন চলতে থাকে। এক সময়ে ওআরএস খেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করে হনুমানটি। সঞ্জীবকুমার মাহাতো নামে ওষুধ দোকানের এক কর্মী ওআরএস খাইয়ে দেন। খানিক বাদে সুস্থ হয়েই আবার হনুমানসুলভ লম্ফঝম্প শুরু। ওষুধ দোকান থেকে বেরিয়ে লাফ দিয়ে এ গাছ ও গাছ করতে নিজকাজে চলে যায় হনুমান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement