ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে, আক্রান্ত আরও ছ’জন

ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা, দু’জন গড়বেতা- ৩ ব্লকের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে একজন শালবনির ও একজন কেশপুরের বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে দাবি, এই ছ’জনই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৫
Share:

রোগীর পরিজনেদের সচেতন করছেন উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা, দু’জন গড়বেতা- ৩ ব্লকের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে একজন শালবনির ও একজন কেশপুরের বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে দাবি, এই ছ’জনই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ওই ছ’জনই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সবই নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তা বলেন, “অনেকেই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। ডেঙ্গি- পরীক্ষায় এই ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ।” পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী। একাধিক ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন তিনি। জ্বরে আক্রান্তদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। মশাবাহিত রোগ আক্রান্তদের চিকিৎসায় যেন গাফিলতি না হয়, সেই নির্দেশও দেন।

এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৩। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, জেলায় এমন রোগীর সংখ্যা কত? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রের দাবি, এখন সংখ্যাটা ৩১। আগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তা বলেন, “পরীক্ষার পরে যাদের রক্তে ডেঙ্গি ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাঁদের উপর বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।” ডেঙ্গিতে মেদিনীপুর মেডিক্যালের নার্সও আক্রান্ত হন। তিনিও চিকিৎসাধীন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement