মশার খোঁজে বাড়ল ‘অস্বস্তি’

পরিত্যক্ত আইসক্রিম কারখানার ট্যাঙ্কে মিলল মশার লার্ভা! গাড়ির গ্যারাজে টায়ারের জমা জলেও খেলে বেড়াচ্ছে মশার লার্ভা। চারিদিকে আবর্জনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:০০
Share:

জমা জলের মশার খোঁজ চলছে ঝাড়গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

খোদ উপ-পুরপ্রধানের ওয়ার্ডেই পরিত্যক্ত আইসক্রিম কারখানার ট্যাঙ্কে মিলল মশার লার্ভা! গাড়ির গ্যারাজে টায়ারের জমা জলেও খেলে বেড়াচ্ছে মশার লার্ভা। চারিদিকে আবর্জনা। শুক্রবার এ সব দেখে ঝাড়গ্রাম শহরের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন মহকুমাশাসক (সদর) সুবর্ণ রায়। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, মশার আঁতুড়ঘর বানিয়ে রাখলে কড়া প্রশাস পদক্ষেপ করবে।

Advertisement

মহকুমাশাসক নিজে পথে নামায় পুরসভার বিভিন্ন স্তরে ‘অস্বস্তি’ শুরু হয়েছে। তবে মহকুমাশাসকের সঙ্গে এ দিন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, উপপুরপ্রধান শিউলি সিংহ, পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক তুষার শতপথী, পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানাও অভিযানে শামিল হয়েছিলেন। ছিলেন জেলার ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক বরুণ মণ্ডলও। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে মশাবাহী রোগ রুখতে কী-কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সে বিষয়ে লোকশিল্পীদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক ট্যাবলো এলাকায় ঘোরে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দুই পতঙ্গবিদ জমা জলের মশার লার্ভার নমুনা পরীক্ষা করেন।

কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রাম শহরের এক স্কুল পড়ুয়া ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে শহরের নার্সিংহোমে ভর্তি হয়। তার পরে নড়ে বসে জেলাপ্রশাসন। শহরে মশা-নিধন কর্মসূচি কেমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসককে পুরভবনে পাঠিয়েছিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি। পুর কর্তৃপক্ষ ও মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক। প্রশাসন সূত্রের খবর, মহকুমাশাসকের মাধ্যমে পুরসভার কাজের রিপোর্ট পেয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ হন জেলাশাসক। তারপরই কার্যবিধি আইনের ১৩৩ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেন মহকুমাশাসক। ফলে, শহরে কেউ মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করলে বা শহর অপরিচ্ছন্ন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ইতিহাসে এই প্রথম বার এই আইন প্রয়োগ করা হল।

Advertisement

এ দিন সকালে সাফাই অভিযান চলে চার নম্বর ওয়ার্ডে মেন রোডের ঠেকনা মোড় থেকে জামদা পর্যন্ত। জল জমিয়ে রাখা ও পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন করার অভিযোগে সাত ব্যবসায়ীকে নোটিস ধরানো হয়। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উপপুরপ্রধান শিউলি বলেন, ‘‘নিয়মিত পুরকর্মীরা সাফাই করেন, সমীক্ষার কাজও চলে। তবু কিছু বাসিন্দার অসচেতনতা যাচ্ছে না। তাই তো মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে পথে নামতে হয়েছে।’’ মহকুমাশাসক জানান, আজ শনিবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ও কাল রবিবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন