মা-মেয়ের বিষে মৃত্যু, উঠছে প্রশ্ন

একই রাতে হঠাৎ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মা-মেয়েকে। সেখানেই অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীপুর শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৬
Share:

প্রতাীকী ছবি

একই রাতে হঠাৎ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মা-মেয়েকে। সেখানেই অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল তাঁদের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত মিনতি সাহু (৩৪) এবং মমতা সাহু (১৬) চণ্ডীপুর থানার নরগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় দু’জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নরগ্রামের বাসিন্দা গৌর সাহুর সঙ্গে চণ্ডীপুরের বোরোজ গোপালপুর গ্রামের মিনতির বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে মমতা একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। পেশায় শ্রমিক গৌর প্রায়ই মত্ত অবস্থায় স্ত্রীর উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ওই পারিবারে অশান্তি চলছিল। শনিবার সন্ধ্যাতেও দু’জনের মধ্যে বচসা বেঁধেছিল বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। এর পরেই রাতে মা-মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত ৯টা নাগাদ দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

Advertisement

মিনতির বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শনিবার রাতে ফোন করে গৌর তাঁদের জানান যে, মিনতি ও মমতা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছেন। পরে ফের ফোন করে জানান তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রাতেই তমলুক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মিনতির মৃত্যু হয়েছে। আর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মমতা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভোরে তারও মৃত্যু হয়। মিনতির আত্মীয় সমরেশ পাহাড়ি বলেন, ‘‘রাতে গৌর ফোন করে আমাদের জানিয়েছিল স্ত্রী ও মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু আমরা রাতে তমলুকে হাসপাতালে গিয়ে দেখি মিনতি মারা গিয়েছে। আর মমতা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেখানে মিনতির ছেলেও ছিল। কিন্তু গৌরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দু-জনের মৃত্যুর ঘটনায় গৌরই জড়িত বলেই আমাদের অনুমান। চণ্ডীপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’

চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ার জেরে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। তার জেরে এমন ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন