সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ভগবানপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের হস্টেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ছাত্র সায়নদীপ খটুয়া (১৩)। ভগবানপুরের পাপিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, হস্টেলের ভিতর গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বেসরকারি স্কুল হস্টেলের পরিচারক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ভগবানপুর থানা সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুরের ভীমেশ্বরী এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সায়নদীপ। এর জন্য স্কুল হস্টেলেই থাকত সে। গত শনিবার বিকেল নাগাদ আচমকাই হস্টেলের ভিতর গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাকে। দ্রুত ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার খবর পেয়েই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা স্কুলের হস্টেলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেই সঙ্গে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ দানা বাঁধে। এলাকাবাসীরা ওই সিভিকের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
মৃত ছাত্রের মা সুস্মিতা খাটুয়ার দাবি, ‘‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে একজন কৃতি পড়ুয়া ছিল। ওর অকালমৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ এলাকাবাসীদেরও দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর প্রকৃত তদন্ত করে দোষীর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ থামবে না। ভগবানপুর থানা সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সেই সঙ্গে দেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।