প্রতীকী ছবি।
জাতীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিস্’ (এনএবিএল)-এর স্বীকৃতি পেল মেদিনীপুর মেডিক্যালের এইচআইভি পরীক্ষাগার। যার অর্থ এই পরীক্ষাগারে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে। রিপোর্টও নিখুঁত।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি হল এক ধরনের জীবাণু যা মানবদেহে প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সংক্রমণের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেলে সেই তীব্র অবস্থাকে বলে এডস্ (অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম)। রক্তে এইচআইভি রয়েছে কি না, তারই পরীক্ষা হয় এই এইচআইভি পরীক্ষাগারে। পরীক্ষাগারের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি এক শংসাপত্র এসে পৌঁছেছে মেডিক্যাল কলেজে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা এইচআইভি পরীক্ষাগারের ইনচার্জ পার্থসারথি শতপথী বলেন, “পরীক্ষার মান যাচাই করেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আমরা সকলে আরও ভাল কাজ করার চেষ্টা করব।’’ পরীক্ষাগারের টেকনিক্যাল অফিসার তথা কোয়ালিটি ম্যানেজার অভিষেক রায়ের কথায়, “এই স্বীকৃতি আমাদের সকলের কাছে সত্যিই গর্বের।’’ এই স্বীকৃতির তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক বলেন, “এখন থেকে এই পরীক্ষাগারের রিপোর্ট দেশ-বিদেশের সর্বত্র গ্রহণযোগ্য হবে। এটাই সব থেকে বড় সুবিধে।’’
পরিদর্শকেরা দেখেন, এই পরীক্ষাগারের সব কিছুই নিঁখুত। রিপোর্টের মান নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এরপরই মেডিক্যালের এইচআইভি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দিয়েছে এনএবিএল। এই স্বীকৃতির মেয়াদ আগামী দু’বছর। পরে ফের পরিদর্শন হবে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের এইচআইভি পরীক্ষাগার ‘স্টেট রেফারেল ল্যাব’ (এসআরএল) হিসেবে কাজ করে। গোটা রাজ্যে ৫টি এসআরএল ল্যাব রয়েছে। এর মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যালেরটি একটি। দুই মেদিনীপুরের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং হাওড়া জেলার এইচআইভি পরীক্ষার রিপোর্ট আসে এখানে। রিপোর্টের মান যাচাই করা হয়। ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা সংশ্লিষ্ট জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।