জলমগ্ন: নয়াচরের বসতি। নিজস্ব চিত্র
অতিবৃষ্টিতে পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচরের বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়েছে। ৫০টির মত কাঁচা ঘড় ভেঙেছে। ২৫০টির মতো ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ভেঙেছে। ২৮০০ মাছের ভেড়ির মধ্যে নদী লাগোয়া ১৫০টি মাছের ভেড়ি প্লাবিত হয়েছে। ডুবেছে রাস্তাঘাট। কয়েক হাজার গবাদি পশু বিপন্ন।
হুগলি ও হলদি নদীর মোহনায় ৬৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মৎস্য আকৃতির এই দ্বীপভূমি এক সময় শিরোনামে আসে এখানে কেমিক্যাল হাব তৈরির ব্যাপারে। বর্তমানে এখানে প্রায় আট হাজার মানুষের বাস। এঁদের বেশিরভাগই মৎস্যজীবী। এই দ্বীপভুমি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের হলদিয়া ব্লকের মধ্যে পড়ে। একেই নীচু এলাকা। তার উপর টানা বৃষ্টিতে এখানে জনজীবন বিপন্ন।
স্থানীয় মৎস্যজীবী বাবলাতলার বাসিন্দা রবীন পাল, স্বপন খাটুয়া বলেন, ‘‘মাছ ধরাই আমাদের জীবিকা। কিন্তু এ বার নাগাড়ে বর্ষা কারণে বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আসে না। কোনও ত্রাণ নেই।’’ নয়াচর মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সভাপতি ও নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দেমারি জালপাই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বনবিহারী পাল বলেন, ‘‘নয়াচরে ২৭০০ মাছের ভেড়ি রয়েছে। এগুলির মধ্যে হলদি নদী ধারে থাকা ১৫০টি মাছের ভেড়ি ভেসে গিয়েছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাবলাতলা, খেজুরতলা, পক মিল, বড় খাল সংলগ্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেশি। অথচ প্রশাসনের কেউ এখানে এসে কোনও খোঁজ নেন না।’’ হলদিয়ার এসডিও পূর্ণেন্দু নস্কর বলেন, ‘‘নয়াচরে জল ঢুকে বেশ কিছু বাড়ির ক্ষতি হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’