গোটা জেলায় একটি অনুষ্ঠান নয়, গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে এ বার সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান হবে প্রতিটি গ্রন্থাগারেই। গ্রন্থাগারের প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ বাড়াতে রাজ্যের সব জেলায় এই পদক্ষেপ হচ্ছে।
২৪-৩০ অগস্ট রাজ্যের সব গ্রন্থাগারে আলাদা ভাবে গ্রন্থাগার সপ্তাহ পালিত হবে। আর ৩১ অগস্ট জেলা ও রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মানুষকে গ্রন্থাগারের প্রতি আকৃষ্ট করতে সর্বত্রই অনুষ্ঠান হবে। সেরা পাঠকদের পুরষ্কৃত করা হবে। একজন পাঠক ও পাঠিকাকে বেছে নেওয়া হবে।
আরও এক ধাপ এগিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা করেছে, প্রতিটি গ্রন্থাগারে ন্যূনতম একশোজনকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে। সেখানে গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক, সদস্যদের পাশাপাশি থাকবেন এলাকার বিশিষ্টজন ও ছাত্রছাত্রীরা। মঞ্চ থেকে দর্শকাসনে বসা লোকজনের ছবি আর দর্শকদের মাথা-সহ মঞ্চের ছবি তুলে পাঠাতেও হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, “পাঠকের জন্যই গ্রন্থাগার। তাই মানুষকে নিয়ে অনুষ্ঠানে ফাঁকি রাখতে চাই না। মানুষকে গ্রন্থাগারমুখী করতেই এই পরিকল্পনা।’’
কর্মী সঙ্কটে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৫৮টি গ্রন্থাগারের মধ্যে ১৭টি বন্ধ। এই গ্রন্থাগারগুলির জন্য ৩৫৪ অনুমোদিত পদ রয়েছে। তবে ২১৬টি পদই শূন্য। লোকাভাবে কিছু গ্রন্থাগার সপ্তাহে দু’দিন খোলা রাখতে হচ্ছে। একই কর্মীকে একাধিক গ্রন্ধাগারের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। জেলা গ্রন্থাগারিক ইন্দ্রজিৎ পান বলেন, “যে দিন যে গ্রন্থাগার খুলবে, সে দিন সেখানে অনুষ্ঠান হবে।’’ কিন্তু যে গ্রন্থাগারগুলি একেবারে বন্ধ, সেখানে কী হবে? জেলা গ্রন্থাগারিকের জবাব, “প্রতিটি গ্রন্থাগার পরিচালনার জন্য একটি করে কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিকেই অনুষ্ঠান করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে!” পাশাপাশি জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক জানান, শূন্যপদের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।