নতুন ভবনই সার, বিলি হয়নি দোকান

বেকার যুবক-যুবতীরা ব্যবসা করে  স্বনির্ভর হবেন, এই লক্ষ্যে রাজ্যে প্রতি ব্লকে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে সেখানে বেকারদের দোকান বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘কর্মতীর্থ’ নামে এই প্রকল্পে উৎসাহিত হন বেকার যুবক-যুবতীরা। অথচ ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগে দীর্ণ এই প্রকল্প। পূর্ব মেদিনীপুরে কেমন চলছে ‘কর্মতীর্থ’—খোঁজ নিল আনন্দবাজার। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি ওই দোকানঘরগুলি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বসহায়ক সংঘগুলিকে বরাদ্দ করা হবে জানানো হলেও এখনও ওই সব দোকান বিলি করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ‘কর্মতীর্থ’ তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

মেচেদা  শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০৮:২০
Share:

তালাবন্ধ কর্মতীর্থ। —নিজস্ব চিত্র

বিল্ডিং তৈরির কাজ শেষ হয়েছে কয়েকমাস আগেই। কিন্তু তা তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। মেচেদা বাজারে ‘কর্মতীর্থ’-র হাল এমনই।

Advertisement

চাকরি না পেলে ব্যবসার মাধ্যমে যাতে বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন সে জন্য রাজ্যের প্রতি জেলায় ব্লকে ব্লকে বাজারসংলগ্ন দোকান-সহ মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে ব্যবসার জন্য বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চালু হয়েছিল কর্মতীর্থ প্রকল্প। সরকারি অর্থে দোকানঘর নির্মাণ করে সেখানে ব্যবসাও চালু হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। কিন্তু অন্য ছবি দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজারে কর্মতীর্থে। প্রকল্পে ১৭টি দোকানঘর সহ মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির পর কয়েক মাস ধরে তা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি ওই দোকানঘরগুলি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বসহায়ক সংঘগুলিকে বরাদ্দ করা হবে জানানো হলেও এখনও ওই সব দোকান বিলি করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ‘কর্মতীর্থ’ তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে।

Advertisement

কর্মতীর্থ চালু না হওয়ার কথা স্বীকার করে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বামদেব গুছাইত বলেন, ‘‘মেচেদা বাজারে কর্মতীর্থ প্রকল্পে দোকানঘর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দোকানঘরগুলি ব্লকের বিভিন্ন স্বসহায়ক সংঘগুলির মধ্যে বিলি করা করা হবে। যাতে সংঘের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যবসা করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করা হবে।’’

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে হলদিয়া–মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় ‘কর্মতীর্থ’ মার্কেট কমপ্লেক্স নামে দোকানঘর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। রাজ্য সরকারের গ্রামীণ জীবিকা মিশন প্রকল্পে ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয় ওই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির জন্য। মাস চারেক আগে ওই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু সেগুলি এখনও বন্টন না হওয়ায় ‘কর্মতীর্থ’ মার্কেট তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।

বাজার ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, নতুন এই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পরে স্বসহায়ক দলের সদস্যদের নিয়ে সভাও হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে কর্মতীর্থ তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। কবে তা চালু হবে তে জানে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন