দলমার বুনো হাতির দলকে ঝাড়খণ্ডের পাঠানো নিয়ে চিন্তায় বন দফতর। পরিকল্পনা ছিল, লাগাতার অভিযান চালিয়ে হাতিগুলিকে লালগড় হয়ে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হবে। কিন্তু তার আগে দেখা যাচ্ছে, মেদিনীপুর বন বিভাগের ৫০টি হাতি তিন ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটি দল পিরাকাটায়, একটি চাঁদরায় ও বাকি একটি রয়েছে লালগড়ে। আবার সদ্য ওড়িশা থেকে আসা হাতির দলটি রয়েছে মানিকপাড়াতে। সেই দলেই হাতির সংখ্যা সর্বাধিক— প্রায় ৮০ টি।
এই পরিস্থিতিতে বন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রথমে বড় হাতির দলটিকে অভিযান চালিয়ে চাঁদরা হয়ে লালগড়ে পাঠানো হবে। সে সময় যদি চাঁদরা ও পিরাকাটায় থাকা হাতির দল দু’টি বড় দলে মিশে যায় তো ভাল। তাহলে সব হাতিকেই এক সঙ্গে লালগড়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। তারপর কাঁটাপাহাড়ি হয়ে পাঠানো হবে ঝাড়খণ্ডে। যদি তা না হয়, তাহলে বড় দলটিকেই ঝাড়খণ্ডে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে। মেদিনীপুর বন দফতরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘চারটি দলকে অভিযান চালিয়ে এক সঙ্গে করা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে বড় দলটিকে অভিযান চালিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া। সে ক্ষেত্রে বাকিরা ওই দলে মিশে গেলে ভালই। না হলে বড় দলটিকেই আগে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হবে।’’ এখন আবার মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে। আবহাওয়া ভাল না থাকলে অভিযান চালানোও কঠিন। তার উপর আবার পুজো চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে দলমার দলকে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হয়, সেটাই দেখার।