ঘাটালে পরিস্থিতির উন্নতি নেই, দাঁড়িয়ে জল

গত বুধবার রাতে ওই সমস্ত এলাকায় জল ঢুকেছিল। এ দিন দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া, খাটবাড়ুই, কামালডিহি, জালালপুর-সহ একাধিক মহল্লা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৭:২০
Share:

ত্রাণ-সংগ্রহে: ত্রাণ আনতে চলেছেন দুর্গতেরা। ঘাটালের গোপমহলে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল ও কৌশিক সাঁতরা।

ছ’দিনেও উন্নতি হয়নি বন্যা পরিস্থিতির। জল কমার বদলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বহু এলাকা। মঙ্গলবার ভোরে দাসপুরের একাধিক গ্রাম নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে। তবে ঘাটাল শহরে আর জল বাড়েনি। তবে জমা জল একই রকম ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

Advertisement

প্রতাপপুরে শিলাবতী নদীর বাঁধ ভাঙার পরই ঘাটাল শহর সহ দাসপুর-১ ও ২ ব্লকের প্রায় ১৬ টি পঞ্চায়েতর সিংহভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। গত বুধবার রাতে ওই সমস্ত এলাকায় জল ঢুকেছিল। এ দিন দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া, খাটবাড়ুই, কামালডিহি, জালালপুর-সহ একাধিক মহল্লা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

এই অবস্থার মধ্যেই প্রতাপপুরের বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি ঘাটালের বাসিন্দারা। মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “দ্রুত ভাঙা বাঁধটি মেরামতি করা হবে। তোড়জোড় শুরু হয়েছে।”

Advertisement

ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও সমানে দাঁড়িয়ে আছে জল। একই অবস্থা শহরের সমস্ত রাস্তার। জলের দখলে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক, পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড, আনাজ বাজার। বাঁধ ভেঙে দাসপুরও জলমগ্ন। দাসপুরের সোনাখালি ব্লকে অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ব্লকের মোট ১৪টি পঞ্চায়েতের ১০টিই এখন জলের তলায়। স্থানীয় গোপীগঞ্জ, চাঁইপাট, সোনাখালি বাসস্ট্যান্ডে এখনও কোমর সমান জল। পানীয় জলের হাহাকার। বহু দুর্গত এলাকায় এখনও প্রশাসন ঢুকতেই পারেনি।

ইতিমধ্যেই ঘাটালের বন্যা দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন (বেলুড়)-সহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শুকনো খাবারের পাশাপাশি বিলি করা হচ্ছে পানীয় জলের পাউচ। এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘাটালের বন্যা কবলিত গোপমোহন এলাকায় রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন