মাওবাদীদের ডাকা বন্ধের কোনও প্রভাবই পড়ল না জঙ্গলমহলে। সোমবার দিনভর ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বেলপাহাড়ি, লালগড়ের মতো এলাকার জনজীবন ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক। দোকান- বাজার খোলা ছিল। পরিবহণ ব্যবস্থাও ছিল অনান্য দিনের মতো। পুলিশেরও দাবি, বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “জেলায় আর মাওবাদী বলে কিছু নেই।”
বন্ধের সমর্থনে প্রেস বিবৃতি দেয় মাওবাদী নেতা আকাশ। ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়, কেন্দু পাতার দাম বৃদ্ধির দাবিতে ২- ৩ মে বাংলা- ঝাড়খণ্ড- ওড়িশা সীমান্ত অঞ্চলে বন্ধ হবে। বন্ধ সফল করতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছিল মাওবাদীরা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, দুধ- স্বাস্থ্য- জল সহ জরুরি পরিষেবা বন্ধের আওতার বাইরে থাকবে। বন্ধকে কেন্দ্র করে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সতর্ক ছিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ এবং রেলপুলিশ। এদিন রেলপুলিশের পক্ষ থেকে জঙ্গলমহল এলাকার লাইনগুলোয় বাড়তি নজরদারি চালানো হয়।