এত্তা জঞ্জাল। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে নিকাশি নালা। নজর নেই পুরসভার। দাসপুরের সাগরপুরে কৌশিক সাঁতরার তোলা ছবি।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে অবস্থানে বসলেন উপ-প্রধান। বৃহস্পতিবার সবংয়ের কংগ্রেস পরিচালিত নারায়ণবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল পাত্রের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন উপ-প্রধান প্রতিমা শীট। প্রধান অনিলবাবু-সহ কয়েকজন কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, ‘‘প্রধান বিরোধী কংগ্রেস সদস্যদের কথায় কোনও গুরুত্ব না দিয়ে ইচ্ছা মতো কাজ করছেন। এমনকী গ্রাম সংসদ সভা না ডাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু গ্রামবাসী।’’
প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, ‘‘প্রধান তৃণমূলের পরামর্শে নিয়মবহির্ভূত কাজ করছেন। এ সবের প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থানে বসেছি।” এ দিন দীর্ঘক্ষণ অবস্থান চলে। প্রধানের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান তুলে নেওয়া হয়। প্রধান অনিলবাবু বলেন, “এ সব অভিযোগ ঠিক নয়। সকল পঞ্চায়েত সদস্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এ ভাবে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হলে কাজ করা মুশকিল হবে। আমি তা সত্ত্বেও বিষয়গুলি দেখব বলে আশ্বাস দিয়েছি।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪টি আসন বিশিষ্ট নারায়ণবাড় পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ৫টি আসন দখল করে। তৃণমূল পাঁচটি ও বামেরা ২টি আসন পায়। বাকি দু’টি আসনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থীরা। এক নির্দল ও এক বাম সদস্যের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। পরে এক নির্দল সদস্য যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান অনিলবাবু-সহ তিন জন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন জন। আটটি আসন নিয়ে তৃণমূল এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। যদিও তৃণমূল এখনও কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেনি। ফলে খাতায়-কলমে এখনও ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসেরই বোর্ড রয়েছে। উপ-প্রধানের কাজ সামালাচ্ছেন কংগ্রেস সদস্য প্রতিমা শীট।