মশা মারতে ঢিলেমি নয়, কড়া ডিএম

ডেঙ্গি রোধে মশা মারার কাজে আরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। সকলে একসঙ্গে এক এলাকায় না গিয়ে একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পিংলা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ০১:২০
Share:

—ফাইল চিত্র।

ডেঙ্গি রোধে মশা মারার কাজে আরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। সকলে একসঙ্গে এক এলাকায় না গিয়ে একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisement

শনিবার দুপুরে পিংলার রবীন্দ্রভবনে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার, জেলার মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান, অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী প্রমুখ। বৈঠকে বিডিও, সমস্ত পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, ভিলেজ রিসোর্স টিমের সদস্য, আশা কর্মীদের ডাকা হয়েছিল। সকলের সঙ্গে আলোচনার পরে এলাকায় মশা মারতে আরও পরিচ্ছন্নতা, মশা মারার তেল স্প্রের পাশাপাশি সচেতনতায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। বিকেলে এলাকা পরিদর্শনেও যান জেলাশাসক।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে আলোচনার সময় বিভিন্ন অঞ্চলের ভিলেজ রিসোর্স টিমের কাজের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। একসময়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ভিলেজ রিসোর্স টিমের সদস্যদের ধমকও দেন জেলাশাসক। তবে ভিলেজ রিসোর্স টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের লোকাভাব রয়েছে। তখন জেলাশাসক একাধিক দলে ভাগ হয়ে তাঁদের এলাকায় নিয়মিত যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এলাকায় মশা মারার তেল দিতে আরও বেশ কয়েকটি স্প্রে মেশিন কেনার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকী ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোনও ঢিলেঢালা ভাব না রেখে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজ করার বার্তা দেন তিনি।

Advertisement

বৈঠকের পরে দু’টি দলে ভাগ হয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তারা। এ দিন মালিগ্রামে জেলাশাসকের সঙ্গে যান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

অন্য দিকে জলচক এলাকায় অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসকের সঙ্গে যান জেলার মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “জেলাশাসক মশা নিধনের কাজে আরও জোর দিতে বলেছেন। কয়েকটি এলাকায় জ্বর আক্রান্ত রয়েছেন। অনেকে বাড়িতে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এই প্রবণতা ঠিক নয় বলে আমরা জানিয়েছি।”

এলাকা ঘুরে দেখার পরে এ দিন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “এলাকায় কাজ হয়েছে। মানুষও সচেতন হয়েছে। তবে আরও সচেতন হতে হবে। আমি বৈঠকে ভিলেজ রিসোর্স টিমের রিপোর্ট দেখে কাজে আরও জোর দেওয়ার কথা বলেছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালগুলিতেও নজরদারি চালাতে হবে। এখন জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। আশা করছি, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন