রক্ষী-বিহীন এটিএম। নিজস্ব চিত্র
ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিনদিন। তমলুকের কাঁকটিয়া বাজারে এটিএম মেশিন কেটে ৩০ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।
সোমবার রাতে কাঁকটিয়া বাজারে হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে জেলা পুলিশের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে সিআইডির’ও। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই ঘটনা এবং এটিএমগুলির নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
জনবহুল ওই বাজারে আরও কয়েকটি এটিএম এবং একাধিক ব্যাঙ্কের শাখা থাকলেও অধিকাংশ এটিএমেই নিরাপত্তারক্ষী নেই বলে অভিযোগ। ফলে ওই সব ব্যাঙ্কের এটিএম এবং শাখা অফিসগুলির নিরাপত্তা ছাড়াও গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁকটিয়া বাজারে কয়েক হাজার দোকান রয়েছে। এছাড়া, জেলার বৃহত্তম পানের বাজার রয়েছে এখানে। বাজারে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, একটি সমবায় ব্যাঙ্কের মোট চারটি শাখা অফিস, দু’টি সমবায় সমিতির অফিস রয়েছে। রয়েছে পাঁচটি এটিএমও। ওই সব ব্যাঙ্ক, সমবায় সমিতির শাখায় এবং এটিএমে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয় বলে।
এ দিকে, ওই বাজারের গত কয়েক মাসে ঘটেছে একাধিক ছিনতাই এবং লুটের ঘটনা। কয়েক মাস আগেই ওই বাজারের এক পান ব্যবসায়ী একটি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় মোটর সাইকেলে চেপে একদল দুষ্কৃতী তাঁর টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে। গত ৬ অগস্ট ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে বৃদ্ধা মিনতি ভৌমিকের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত ওই মহিলা পরে মারা যান।
বাজারের শ্রীকৃষ্ণ পান ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা সতীনাথ জানার কথায়, ‘‘নিরাপত্তা রক্ষীবিহীন ব্যাঙ্কের শাখায় ও এটিএমে গিয়ে টাকা জমা দিতে যাওয়া বা টাকা তুলে ফেরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিষয়টি আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। আমরা চাই নিরাপত্তার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ-প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’
বিষয়টি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার অসীম পণ্ডিত বলেন, ‘‘এটিএম এবং ব্যাঙ্কের শাখায় নিরাপত্তারক্ষী না রাখার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা যদি এ ব্যাপারে আবেদন জানান, তা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হবে।’’