গাড়ি কিনতে ছুটতে হয় তমলুক

আরটিও অফিস নেই শিল্প-শহরেই, ভোগান্তি

মাস কয়েক আগের কথা। মন্ত্রিত্ব পেয়েই ঘাটালে পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক কার্যালয় চালুর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য মেদিনীপুর সদর ছাড়াও ঘাটালে একটি অফিসের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

মাস কয়েক আগের কথা। মন্ত্রিত্ব পেয়েই ঘাটালে পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক কার্যালয় চালুর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য মেদিনীপুর সদর ছাড়াও ঘাটালে একটি অফিসের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অথচ শুভেন্দুর ‘খাস তালুক’ হলদিয়াও ভুগছে সেই একই রোগে। কিন্তু তা নিয়ে হেলদোল নেই প্রশাসনের।

Advertisement

মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই গ্রামের বাসিন্দা গৌতম সামন্ত সম্প্রতি একটি মোটর বাইক কিনেছিলেন হলদিয়া শহরের একটি দোকান থেকে। সাধের বাহনের রেজিস্ট্রেশন, নম্বর প্লেট লাগাতে কালঘাম ছুটেছে তাঁর। পেশায় পশু চিকিৎসক গৌতমবাবুকে ওই মোটরবাইকের জন্য ছুটতে হয়েছে ৩৫ কিলোমিটার দূরে তমলুকে। সেখানেই জেলা প্রশাসনিক অফিসের কাছে পরিবহণ দফতরের একমাত্র কার্যালয়টি। গৌতমবাবুর আক্ষেপ, ‘‘হলদিয়ার মতো শিল্পাঞ্চলে যদি এ সব কাজ না-করা যায়, তবে আর শহরে থেকে লাভ কি!’’

হলদিয়া শহরে ঝাঁ চকচকে নতুন গাড়ির দোকানের অভাব নেই। কিন্তু দু’চাকা হোক বা চার চাকা— গাড়ি কিনলেই তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেতে ছুটতে হয় তমলুকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বা পুনর্নবীকরণ করতে গেলও যেতে হয় ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর তমলুকের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অফিসে। সুতাহাটা বাজারের একটি মোটর বাইক শো-রুমের মালিক বলেন, ‘‘হলদিয়ায় পরিবহণ দফতরের নতুন অফিস চালু হবে বলে শুনছি অনেকদিন ধরেই। কিন্তু এখনও কেন ওই অফিস চালু হচ্ছে না, সেটাই বুঝতে পারছি না।

Advertisement

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে হলদিয়ায় সহকারি আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের (এআরটিও) অফিস চালুর জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে। হলদিয়ার দুর্গাচক সুপার মার্কেটের কাছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভবনে ওই অফিস চালু করার জন্য এক বছর আগে বাড়ি ভাড়াও নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সজল অধিকারী অবশ্য বলেন, ‘‘প্রশাসনিক সব কাজ হয়ে গিয়েছে। তবে অফিস ঘরের পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই অফিসটি চালু করা যাবে বলে আশা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন