জলপথে নিয়ম নাস্তি

পুলিশ বলছে, নজরদারিতে খামতি নেই। প্রশাসন বলছে, লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার হয়। কিন্তু নৌকার ঘাটে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। সেখানে নিয়ম না মানাটাই দস্তুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৫৮
Share:

কারও গায়েই লাইফ জ্যাকেট নেই। হরিশপুর থেকে বন্দর ঘাটে বাড়তি যাত্রী নিয়েই যাতায়াত। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

পুলিশ বলছে, নজরদারিতে খামতি নেই। প্রশাসন বলছে, লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার হয়। কিন্তু নৌকার ঘাটে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। সেখানে নিয়ম না মানাটাই দস্তুর।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদে ভৈরব নদে নৌকাডুবি হয়েছে। বারবার বিভিন্ন জেলায় এমন ঘটনা ঘটলেও হুঁশ ফিরছে না, তা মালুম হল ঘাটালের হরিশপুর ঘাটে পৌঁছেই।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা। হরিশপুর ফেরিঘাটে পৌঁছেই চোখে পড়ল ভরা রূপনারায়ণে বাড়তি যাত্রী নিয়ে নৌকা পারাপার চলছে। হরিশপুর-বন্দর ব্যস্ততম ফেরিপথ। দিনে দুই জেলার তিন-চার হাজার মানুষ এই পথে নৌকায় পারাপার হন। অথচ মান্ধাতা আমলের ঘাট মেরামত হয়নি। বাঁশের মাচায় উঠেই চাপতে হয় নৌকায়। হুড়মুড়িয়ে যাত্রীরা নৌকায় ওঠেন। অনেকে সাইকেল, বাইক নিয়েই উঠে পড়েন। এ দিনও প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকার ঘাট ছাড়ার দৃশ্য দেখা গেল। মাঝি-সহ কোনও যাত্রীর গায়ে লাইফ জ্যাকেট দেখা গেল না, চোখে পড়ল না পুলিশও। জানা গেল নিষেধ উড়িয়ে রাত ন’টা-দশটা পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই নৌকা পারাপার চলে। দু’টি ঘাটেই পর্যাপ্ত আলো নেই। ভরসা শুধু টর্চ।

Advertisement

হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর— দুই জেলার অন্যতম যোগাযোগের পথ এটি। হুগলির খানাকুল-পঞ্চায়েত সমিতি ঘাটের দেখভাল করে। নৌকোয় হুগলির বন্দর ঘাটে পৌঁছে তিনটি সিসি ক্যামেরা চোখে পড়ল বটে। তবে সবই অকেজো। ফেরিঘাটের অফিসে ডাঁই হয়ে পড়ে গোটা তিরিশেক লাইফ জ্যাকেট। ফেরিঘাটের কর্মী অনুপ গুছাইত বললেন, “আচমকাই ভোল্টেজ বেড়ে ক্যামেরার লাইন পুড়ে গিয়েছে। আর লাইফ জ্যাকেট পরানোর কর্মী ছুটিতে। তাই ক’দিন ব্যবহার করা হচ্ছে না।’’

ঘাটালের এসডিপিও কল্যাণ সরকারের দাবি, “ঘাটে সিভিক ভলান্টিয়ার আছে। নজরদারি চলে।” খানাকুল ২-এর বিডিও দেবলকুমার উপাধ্যায় মানলেন, “সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে পরিদর্শন করা হয়। কেন লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার হচ্ছে না খোঁজ নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন