নিমপুরায় পথ অবরোধ।
এলাকার নিকাশি ও জঞ্জাল সমস্যায় দীর্ঘদিনের। এ বার পুরভোটের মুখে সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভ উগরে পথ অবরোধ করলেন পুর-নাগরিকেরা। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নিমপুরা রোডের রামমন্দিরের সামনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুরসভা আবর্জনা ফেলার গাড়ি নিয়ে এসে সাফাইয়ের কাজ শুরু করায় অবরোধ উঠে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে নিমপুরার এই ওয়ার্ডটি সিপিএমের দখলে রয়েছে। রেল এলাকার সঙ্গেই গত ২০ বছরে এই এলাকায় বসতি বাড়লেও বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই অনুপাতে পুর পরিষেবা মেলেনি। ফলে জঞ্জাল, নিকাশি সমস্যা নিয়ে বরাবরই সমস্যা ছিল। এছাড়াও কোথাও রাস্তার পিচের আস্তরন উঠে গিয়েছে তো কোনও পাঁচ বছরেও ঢালাই রাস্তায় সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বৃদ্ধা কমলা চক্রবর্তী, প্রৌঢ় ভগবান যাদবদের কথায়, “ওয়ার্ডের নতুন কয়েকটি রাস্তা হওয়া ছাড়া সমস্ত রাস্তার অবস্থা বেহাল। নিকাশি নালা মজে গিয়েছে। কাউন্সিলরকে বলেও কাজ হয়নি।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন রাস্তার ধারের নর্দমা সাফাই করা হয়নি। কিন্তু পুরভোটের মুখে সেই মজে যাওয়া নর্দমা থেকে আবর্জনা তোলার কাজ চলছিল। কিন্তু ওই আবর্জনা তোলার পরও রাস্তার ধারেই দিন কয়েক তা পড়ে ছিল। এর মধ্যে গত দু’দিনে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় জল জমে গিয়েছে রাস্তায়। তাই এ দিন এলাকায় বিরোধী তিন দলের প্রার্থীকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়নি। এ দিন এলাকার তৃণমূল প্রার্থী লখিবিন্দর কৌর, কংগ্রেসের মীনা সাহু, বিজেপি প্রার্থী পি বিজয় লক্ষ্মীরা জানান, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে এই আন্দোলন নয়। য়ার্ডের মানুষের ক্ষোভের আঁচ বুঝতে পেরে তাঁরাও এলাকার মানুষ হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠু নিকাশির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
এলাকার সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘এখানে ৩৫ বছর ধরে আমাদের উন্নয়নের ধারা দেখেই মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন। এ বারেও মানুষ সিপিএমকে জেতাতে প্রস্তুত।’ যদিও অনিতবাবুর বক্তব্য, ‘‘নিকাশির কিছু ক্ষেত্রে যে সমস্যা রয়েছে তা পুরসভার সাফাই কর্মীর অভাবে হয়েছে। ওয়ার্ডের উন্নয়নে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয়েছে তাতে এত বড় ওয়ার্ডের সব সমস্যা সমাধান একদিনে সম্ভব নয়।”