বাঁদরামিতে কি স্কুল বন্ধ!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকেই সেই বাঁদরটি স্কুল চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ছে। কখনও মিড ডে মিলের রান্নাঘরে ঢুকে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের তাড়া করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

স্কুলের বাইরে সেই বাঁদর। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক আগে লোধাশুলিতে কেক খাওয়াতে গিয়ে এক বাঁদরের কামড় খেয়েছিলেন গোপীবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো। এ বার বাঁদরের বাঁদরামিতে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে রাধানগর পঞ্চায়েতের বেতকুন্দ্রি গ্রামের জুনিয়র হাইস্কুলে পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকেই সেই বাঁদরটি স্কুল চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ছে। কখনও মিড ডে মিলের রান্নাঘরে ঢুকে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের তাড়া করছে। ওই জুনিয়র স্কুলের পাশেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানকার খুদেরাও আতঙ্কিত। বনকর্মীরা এলেও বাঁদরটিকে ধরতে পারেননি। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বাঁদরটিকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘বাঁদরটিকে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। বন্যপ্রাণিকে উত্যক্ত না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চলা বেতকুন্দ্রি জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৮৭। আজ, শুক্রবার সেই স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান। কিন্তু বাঁদরের জন্য মহড়াও ঠিক মতো দেওয়া যায়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মণ্ডল, সহ-শিক্ষক দেবাঞ্জন মণ্ডল, সহশিক্ষিকা সংযুক্তা দাস জানান, প্রথম দু’দিন বাঁদরটি শান্ত ছিল। ক্রমশ সে অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। পড়ুয়াদের দেখলেই তাড়া করছে। শিক্ষকরা লাঠি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার পরেও পথচলতি টোটো, অটো দেখতে পেলে তাতে চড়ে স্কুলের সামনে ফিরে আসছে।

Advertisement

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। স্থানীয়রা ব‌লছেন, গলায় দড়ি বাঁধা বাঁদরটি হয়তো কারও পোষ মানা। চেনা মানুষকে দেখতে না পেয়ে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন