দোকানে এক গৃহবধূর ফেলে যাওয়া মোবাইল-সহ টাকার ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ছবি দেখে শুক্রবার ওই এনভিএফ কর্মীকে দোকানদার চিহ্নিত করার পরও তমলুক থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। মহিলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এক মহিলা তাঁর মোবাইল-সহ টাকার ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ঘটনায় এক এনভিএফ কর্মীর জড়িত থাকার বিষয়টি নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
তমলুক শহরের বাসিন্দা ওই মহিলা গত ৬ মার্চ হাসপাতাল মোড় এলাকায় একটি দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। ভুল করে মোবাইল, নথিপত্র সহ টাকার ব্যাগ দোকানের টেবিলের উপর ফেলে চলে আসেন। দোকানে সেসময় জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন পুলিশের এক এনভিএফ কর্মী। অভিযোগ, ব্যাগটি তুলে লুকিয়ে নেন ওই কর্মী।
ওই গৃহবধূ মোবাইল সহ টাকার ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তমলুক থানায় অভিযোগ জানান। এ দিকে ওই দোকানদার তাঁর দোকানের সিসি ক্যামেরায় ওঠা ছবি দেখে চুরির ঘটনা জানতে পারেন। শুক্রবার সকালে ওই দোকানদার অভিযুক্ত ওই এনভিএফ কর্মীকে দেখতে পান। ওই দোকানদার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন ওই ব্যক্তি এনভিএফ কর্মী। ওই এনভিএফ কর্মী ব্যাগ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন বলেও অভিযোগ।
ইতিমধ্যে খবর পেয়ে সেখানে যান ওই মহিলার পরিজনরা। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, টাকার ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে তমলুক থানার পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত হোমগার্ডের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
পুলিশের অবশ্য দাবি, ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কয়েকদিন থানায় অভিযোগ হয়েছিল। এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।