পাঁচ মাস ধরে মিলছে না বার্ধক্য ভাতা। ফলে দৈনন্দিন দিনযাপন করতে সমস্যায় পড়েছেন উপভোক্তারা। অভিযোগ, পোস্ট অফিসের নিজস্ব সমস্যার কারণেই মিলছে না টাকা। ক্যানিং ১ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েত এলাকায় এই সমস্যায় ভুগছেন বহু গরিব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাজ কল্যাণ দফতর দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষকে এই ভাতা দেয়। উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ভাতার টাকা। ৬০-৭৯ বছর বয়স পর্যন্ত মাসে ৪০০ টাকা এবং ৮০ বছরের উপরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সেই টাকা মিলছে না। ভাতা না পাওয়ায় অনেকের খাবার জুটছে না বলেও জানা গেল। সম্প্রতি ক্যানিঙের রাজারলাট পাড়ার দুই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার্ধক্য ভাতার টাকাতেই তারা ওষুধ কিনে খেতেন। টাকা না আসায় ওষুধ কিনতে পারেননি। তাই মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় নস্কর, উমা মণ্ডলদের ক্ষোভ, ‘‘প্রায় পাঁচ মাস ধরে বার্ধক্য ভাতার টাকা মিলছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানিয়ে কাজ হচ্ছে না। অথচ ওই টাকাটা অনেকের সংসারে বল-ভরসা।’’ সমস্যার কথা মানছেন মাতলা-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান উত্তম দাস। তিনি বলেন, নিয়মিত বার্ধক্য ভাতা মিলছে না বলে অনেক উপভোক্তা আমাকে জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি।’’