ছাত্র সংঘর্ষ চলছেই, ধৃত এক বিজেপি কর্মী

সোমবারের গোলমালের পরে ছাত্র সংসদের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল বেলদা কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল ও বেলদা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৩
Share:

বেলদা কলেজে টিএমসিপির বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

সোমবারের পরে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত রইল বেলদা কলেজ। এ দিনও ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ও এবিভিপি। নাড়াজোল কলেজে অবশ্য এ দিনের পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। সেখানে সোমবারের গোলমালে জড়িত সন্দেহে এক স্থানীয় বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবারের গোলমালের পরে ছাত্র সংসদের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল বেলদা কলেজ কর্তৃপক্ষ। দুই ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদেরই ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ক্যাম্পাসে কোনও রাজনৈতিক পোস্টার, ব্যানার, পতাকা রাখা যাবে না। যদিও মঙ্গলবার সকালেই ছাত্র সংসদের ঘরের সামনে সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে দেয় টিএমসিপি। এবিভিপি সমর্থকেরাও জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বাড়তে কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস থেকে সব পোস্টার, ব্যানার, পতাকা খুলে দেয়। এর মধ্যেই ফের ছাত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। কলেজ পুলিশ ডাকে। টিএমসিপির ২ জন ও এবিভিপির ২ জন সমর্থককে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে টিএমসিপি। সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি মনোজ দেবের অভিযোগ, অধ্যক্ষ এবিভিপির হয়ে কাজ করছেন। এবিভিপির কলেজ ইউনিটের নেতা তমালজ্যোতি জানার দাবি, কলেজে যতদিন না শান্তি ফিরছে ততদিন প্রয়োজনে পঠনপাঠন বন্ধ থাকুক। কলেজের অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি কারও হয়েই কাজ করছি না। ছাত্র সংসদের ঘর আপাতত বন্ধ থাকবে। গভর্নিং বডির বৈঠকের পরে সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

নাড়াজোল কলেজে সোমবারের গোলমালের ঘটনায় ওই রাতেই পিনাকী পাত্র পুলিশ নামে বিজেপি কর্মীকে ধরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবিভিপি অবশ্য মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেনি। মঙ্গলবার কলেজে পঠনপাঠন হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম পড়ুয়া বলেন, “মঙ্গলবার কলেজে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল।” সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা ছিল নাড়াজোলে। তার আগে নাড়াজোল কলেজে টিএমসিপি ও আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল হয়। দু’পক্ষেরই কয়েকজন আহত হন।

Advertisement

টিএমসিপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশান্তি আমরা সমর্থন করি না। সোমবারের ঘটনায় সংগঠনের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল।” এবিভিপির দাসপুর নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনুভব মিশ্রের অভিযোগ, “সোমবার অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন যে ছাত্র সংসদের ঘরে সব ছাত্র বসতে পারবেন। কিন্তু মঙ্গলবার আমাদের কোনও ছাত্রকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ দিন একজনকে মারধরও করেছে টিএমসিপি। পুরো বিষয়টি জানিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন